শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ

একই গ্রুপে দুই চ্যাম্পিয়ন

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন স্বাগতিক চট্টগ্রাম আবাহনী, পরের আসরে মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস ক্লাব। শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের তৃতীয় আসরে একই গ্রুপে রয়েছে দুই চ্যাম্পিয়ন।

গতকাল রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে প্রতিযোগিতার গ্রুপিং সম্পন্ন হয়। গ্রুপে দুই চ্যাম্পিয়নের সঙ্গী কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহনবাগান ও লাওসের ইয়াং এলিফ্যান্টস।বি গ্রুপে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ দুই দল বসুুন্ধরা কিংস ও ঢাকা আবাহনীর প্রতিপক্ষ ভারতের চেন্নাই সিটি এফসি ও মালয়েশিয়ার তেরেঙ্গানো এফসি।

দুই গ্রুপের মধ্যেবি গ্রুপ তুলনামূলক কঠিন। বসুন্ধরা গ্রুপ দেশী-বিদেশী ফুটবলারদের নিয়ে দুরন্ত এক দল গড়েছে। ডাগআউটে থাকছেন হালের পরাশক্তিদের প্রথম মৌসুমেই প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা এনে দেয়া স্প্যানিশ টেকনিশিয়ান অস্কার ব্রুজোন। এদিকে এএফসি কাপে দুর্দান্ত ফুটবল খেলে গত মৌসুম শেষ করেছে ঢাকা আবাহনী। চেন্নাই সিটি এফসি ও তেরেঙ্গানো এফসি শক্তিশালী দল নিয়ে আসছে। প্রতিযোগিতারবি গ্রুপে ঢাকা আবাহনী ও মালয়েশিয়ার তেরেঙ্গানো এফসি ম্যাচে আলোচিত হবে লি টাকের নাম। আবাহনীর সাবেক এ কুশলী ফরোয়ার্ড এখন খেলেন মালয়েশিয়ান সুপার লিগের এ ক্লাবের হয়ে। ইংলিশ এ প্লে-মেকার ক্লাবটির অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া ক্লাবে রয়েছে ফ্রান্স অনূর্ধ্ব-১৭ দলের হয়ে খেলা (বর্তমানে কম্বোডিয়ার হয়ে খেলেন) থিয়েরি বিন।

১৯ অক্টোবর চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে এ প্রতিযোগিতা, শেষ হবে ২৯ অক্টোবর। সবগুলো খেলা অনুষ্ঠিত হবে বন্দর নগরীর এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে। ২০১৫ সালে শুরু হয় শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ। আয়োজকদের প্রত্যাশা এবারের আসর হবে সবচেয়ে জমকালো।

ফুটবলে শেখ কামালের স্বপ্নকে পুঁজি করে আমরা এ প্রতিযোগিতা আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করছি, বিগত দুটি আয়োজনের চেয়ে এবারেরটি জমকালো হবে’—ক্লাব কাপের গ্রুপিংয়ের জন্য আয়োজিত অনুষ্ঠানে বলেন প্রতিযোগিতার প্রধান সমন্বয়ক ও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমীন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। এ সময় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে), প্রতিযোগিতার আয়োজক চট্টগ্রাম আবাহনী, পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ও অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলোর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পাঁচ দেশের এ আসরে আট দলের প্রতিটিকে অংশগ্রহণ ফি বাবদ দেয়া হবে ১০ হাজার ডলার। চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য থাকছে ৫০ হাজার ডলার, রানার্সআপ দল পাবে ২৫ হাজার ডলার। এছাড়া থাকছে বিভিন্ন ব্যক্তিগত পুরস্কার। তরফদার রুহুল আমীনের আশাবাদ ক্লাব পর্যায়ে আয়োজিত এ প্রতিযোগিতা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার কথায়, ‘আমরা প্রতিযোগিতা নিয়ে মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। বাংলাদেশ ফুটবলের ইতিহাসে ক্লাব পর্যায়ে এত জমকালো প্রতিযোগিতা অতীতে হয়নি।

প্রিয় বন্ধু শেখ কামালের স্মৃতি ধরে রাখার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, ‘ছোটবেলার বন্ধু শেখ কামালের মতো ক্রীড়া সংগঠক জীবনে পাইনি। আমার মাঝে যদি তার ১ শতাংশ সাংগঠনিক গুণাবলি থাকত, তবে নিজেকে ধন্য মনে করতাম। এমন একজনের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য যারা কাজ করছেন, তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।

আয়োজক কমিটির অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘শেখ কামালের যে প্রত্যাশা ছিল, আমরা কিন্তু দেশের ফুটবলকে সে পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারিনি। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা দেশের ফুটবলকে এগিয়ে নিতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন