সম্মেলন নিয়ে দ্বন্দ্ব

বোয়ালমারীতে আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০

বণিক বার্তা প্রতিনিধি ফরিদপুর

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় দলীয় সম্মেলন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল সকালে উপজেলার কয়ড়া বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে বোয়ালমারী থানা পুলিশ।

এদিকে সংঘর্ষের জেরে সাতৈর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বেলা ৩টার দিকে ডোবরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সাতৈর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারিত ছিল। সম্মেলন নিয়ে গতকাল সকালে কয়ড়া বাজারের একটি চায়ের দোকানে বর্তমান ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নানকে সমর্থন জানান বিএনপি কর্মী সুমন খন্দকার। এ নিয়ে ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী ও ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাকের সমর্থক আবুল বাশার ওই বিএনপি কর্মীর সঙ্গে কথাকাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন।

একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান ও ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাকের সমর্থক আবুল বাশারের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে ডোবরা গ্রামের নান্নু হাওলাদার (৪০), আজিজুল শেখ (৪০), মাহাবুর ফকির (২৫), মকলেছ শেখ (৩০) গুরুতর আহত হন। তাদের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

খবর পেয়ে জয়নগর পুলিশ ফাঁড়ি ও বোয়ালমারী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে কয়ড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক (৫৫), আব্দুল মান্নান (৪৫) ও পান্নু মোল্যাকে আটক করে থানা পুলিশ। পরে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫১ ধারায় মামলা করে ফরিদপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ।

সাতৈর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান জানান, গতকাল বিকালে ৮ নং ওয়ার্ডের সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আব্দুর রাজ্জাক ও আব্দুল মান্নানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে সম্মেলনটি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মীরদাহ পিকুল বলেন, ডোবরার সংঘর্ষের খবর পেয়েছি। সংঘর্ষের কারণে সম্মেলনটি স্থগিত করেছে সাতৈর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ।

বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করে ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পরবর্তী সময়ে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে

রয়েছে পুলিশ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন