দুপচাঁচিয়া উপজেলা ডাকঘর

জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে কার্যক্রম

বণিক বার্তা প্রতিনিধি বগুড়া

একসময় দুপচাঁচিয়া উপজেলা ডাকঘরের কার্যক্রম পরিচালিত হতো মাটির ঘরে। ১৯৮৫ সালে উপজেলা সদরের পূর্বপাড়ায় ওই মাটির ঘর ভেঙে ডাক বিভাগের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করা হয় পাকা ভবন। এর পরই এ ডাকঘরে প্রশাসনিক কাজে বাড়ে গতিশীলতা। তবে সংস্কারের অভাবে ভবনটি বর্তমানে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরেই ওই ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ডাকঘরের কার্যক্রম।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দুপচাঁচিয়া উপজেলা ডাকঘরের প্রতি মাসে গড়ে সাধারণ ও বিভিন্ন মেয়াদি সঞ্চয় জমা পড়ে প্রায় দেড় কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয় মাসে ২ থেকে আড়াই কোটি টাকার। এছাড়া এখানে চালু রয়েছে ছয় মাসের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। এ কার্যক্রমে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী। কিন্তু ডাকঘরের ভবনটি জরাজীর্ণ হওয়ায় প্রশিক্ষণার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি সেবাগ্রহীতাদেরও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সরেজমিন দেখা যায়, ডাকঘরের পশ্চিম ও দক্ষিণ পাশের সীমানাপ্রাচীর বহু আগেই ভেঙে পড়েছে। ডাকঘর ভবনের ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে বেরিয়ে এসেছে ভেতরের রড। দেয়ালের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল। একইভাবে জরাজীর্ণ হয়ে হয়ে পড়েছে পোস্টমাস্টারের বাসভবনটিও। কিন্তু উপায় না থাকায় এক দশক আগে বিভাগীয়ভাবেঅব্যবহারযোগ্য’-ঘোষিত এ ভবনেই কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের। বৃষ্টি হলেই পানি থেকে বাঁচাতে ডাকঘরের কম্পিউটারসহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিস পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। কর্মকর্তাদের এসব জিনিস রক্ষায় সবসময়ই দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। এ অবস্থায় ভুক্তভোগী গ্রাহক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জরাজীর্ণ এ ডাকঘর ভবনের সংস্কার কিংবা নতুন করে ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে দুপচাঁচিয়া উপজেলা পোস্টমাস্টার আব্দুল হাকিম মিয়া বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটির বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়ে তিনি একাধিকবার বিভিন্ন জায়গায় আবেদন করেছেন। এরই মধ্যে বগুড়া ডাক বিভাগের ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল ভবনটি পরিদর্শন করেছেন। তিনি ভবনটির জরুরি সংস্কারের জন্য প্রাথমিক একটি স্কিমও তৈরি করেছেন। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পেলেই ভবনটি সংস্কার করা হবে।

বগুড়ার পোস্ট অফিসের ভবন শাখার পোস্টার অপারেটর জাহানুর ইসলাম বলেন, দুপচাঁচিয়া পোস্ট অফিস ভবনের সংস্কারের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলেই দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে ঠিকাদার নির্বাচিত করে জরাজীর্ণ ভবনটি সংস্কার করা হবে।

এদিকে বগুড়ার ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, দুপচাঁচিয়া উপজেলা ডাকঘর ভবনটি পুরনো ও জরাজীর্ণ। এটির সংস্কার প্রয়োজন। তাছাড়া ডাক বিভাগের জরাজীর্ণ ডাকঘর ভবন নির্মাণ প্রকল্পের কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। এটি সংস্কার করা হবে না নির্মাণ করা হবে, সে বিষয়ে তারা মতামত প্রদান করবেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন