তামাকের বদলে আখ চাষের আহ্বান মন্ত্রীর

বণিক বার্তা প্রতিনিধি বান্দরবান

স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তামাক চাষ ও এর প্রক্রিয়াজাতকরণ পরিহার করে আখ চাষে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। গতকাল সকালে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ইক্ষু, সাথি ফসল ও গুড় উৎপাদনের গুরুত্ব এবং সম্ভাবনা শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।

পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ ও বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএসআরআই) যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।

মন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তামাক চাষ ও এর প্রক্রিয়াজাতকরণ পরিহার করে উচ্চফলনশীল ও অধিক চিনিসমৃদ্ধ অর্থকরী ফসল ইক্ষু ও এর সাথি ফসল চাষে কৃষকদের এগিয়ে আসতে হবে। এতে কৃষকরা যেমন উপকৃত হবেন, তেমনি দেশের অর্থনীতিও সমৃদ্ধ হবে।

কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট এ পর্যন্ত ৪৬টি ইক্ষুজাত উদ্ভাবন করেছে। এসব জাত দেশের চিনিকল ও গুড় এলাকায় চাষাবাদ হচ্ছে। পার্বত্য এলাকায়ও ইক্ষু চাষ সম্প্রসারণের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। ইক্ষু খরাসহিষ্ণু ফসল। যে জমিতে অন্য কোনো ফসল ফলানো সম্ভব হয় না, সেসব জমিতে ইক্ষু চাষ করা যায়। পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় বিএসআরআইয়ের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির বান্দরবান উপকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ ক্যছেন। এ সময় জানানো হয়, ইক্ষুক্ষেতে সাথি ফসল হিসেবে আলু, পেঁয়াজ-রসুন, বাঁধাকপি, সরিষা, গাজর, তিল, ডালজাতীয়সহ প্রভৃতি কৃষিপণ্য চাষ করা যায়। ফলে ইক্ষুক্ষেতে এসব সাথি ফসল চাষ করে লাভবান হবেন কৃষক।

বিএসআরআইয়ের মহাপরিচালক ড. মো. আমজাদ হোসেন কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে জানান, পাহাড়ের উঁচু ভূমিতে ইক্ষু চাষ উপযোগী প্রযুক্তি উদ্ভাবনের চেষ্টা চলছে।

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার, বিএসআরআই-কেজিএফ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ড. এবিএম আমজাদ হোসেন প্রমুখ।

কর্মশালা শেষে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানটির চত্বরে কৃষকদের মাঝে পাওয়ার টিলারসহ কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ করেন মন্ত্রী।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন