ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘এ মাইনাস’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-থ্রি’। ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে ন্যাশনাল ক্রেডিট রেটিংস লিমিটেড (এনসিআর)।
সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০১৯ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সম্মিলিত ইপিএস হয়েছে ১০ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির সম্মিলিত ইপিএস ছিল ৫২ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) সম্মিলিত ইপিএস হয়েছে ১ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৮ পয়সা। ৩০ জুন সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৪৬ পয়সা।
সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় ইন্টারন্যাশনাল লিজিং। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির সম্মিলিত ইপিএস হয়েছে ৫৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৮৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর সম্মিলিতভাবে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৩ টাকা ৩৬ পয়সা। গেল হিসাব বছরে কর পরিশোধের পর ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের নিট মুনাফা ৭১ শতাংশ কমেছে। এ সময়ে তাদের বিনিয়োগে লোকসান হয়েছে ৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা, সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান থেকে আয় ১১ কোটি ৪০ লাখ টাকা কমেছে এবং আয়কর সঞ্চিতি ১৪ কোটি ১০ লাখ টাকা বেড়েছে।
উল্লেখ্য, সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব বছরে ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয়ায় ইন্টারন্যাশনাল লিজিং শেয়ারকে ‘এ’ থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে নামিয়ে আনা হয়েছে।
২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ১২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় ইন্টারন্যাশনাল লিজিং। ২০১৬ হিসাব বছরে ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা।