জিমি ঝাং চীনা নাগরিক, সুপার হোস্টেলের দুই উদ্যোক্তার একজন; মূল প্রতিষ্ঠান নিউওয়েজ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মুখ্য পরিচালন কর্মকর্তা বা চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও)। সম্প্রতি ঢাকায় ব্যাচেলরদের সাশ্রয়ী আবাসন হিসেবে সুপার হোস্টেলের প্রায়োগিকতা, বিনিয়োগ, এর দর্শন, গ্রাহক সাড়া, সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রভৃতি নিয়ে তার সঙ্গে কথা হয়েছে বণিক বার্তার। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন হুমায়ুন কবির
বাংলাদেশকেই কেন কাজের ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিলেন?
আমি বাংলাদেশে আসি ২০১৪ সালে। আমার বন্ধু এবং এ (সুপার হোস্টেল) ব্যবসার অংশীদার তখন এখানে আরেকটা ব্যবসা করছিল। আমি আসার পর বাংলাদেশে কী করতে পারি, সে ব্যাপারে আমাদের অনেক কথাবার্তা হলো। পরের দুই বছর আমরা এ দেশ, এখানকার সমাজ আর মানুষের ওপর প্রচুর গবেষণা করলাম। দেখলাম দেশটা বেশ উন্নতি করছে। তাছাড়া চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কও চমত্কার। পৃথিবীর অন্য বহু দেশের মতো এখানেও চীনের ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ প্রকল্প রয়েছে। জিডিপিও খুব দ্রুত হারে বাড়ছে। তাই আমরা এ দেশেই কিছু একটা করার কথা ভাবলাম। তবে সিদ্ধান্ত হলো, যা-ই করি না কেন, ভিন্ন কিছু করতে হবে।
ব্যাচেলরদের জন্য হোস্টেল বানানোর চিন্তা কী করে মাথায় এল?
আমার বন্ধুর প্রতিষ্ঠানের সহকর্মী হিসেবে জনাদশেক স্থানীয় লোক ছিলেন। তাদের মধ্যে সিংহভাগই ঢাকার বিভিন্ন মেসে থাকতেন। ঘটনাচক্রে কয়েকটিতে আমাদের যাওয়াও হলো। দেখলাম কী নোংরা পরিবেশে তারা থাকেন! টয়লেটে দুর্গন্ধ, থাকার জন্য মোটেও আরামদায়ক জায়গা নয়। জিজ্ঞেস করে জানলাম যে অজস্র মানুষ এ শহরের নানা জায়গায় এভাবেই থাকে। গুগলে ঘাঁটাঘাঁটি করে জানা গেল, ঢাকায় কমসে কম ৩০ থেকে ৪০ লাখ ব্যাচেলর মেসে থাকেন। এবার আমরা আরো মেস, আরো কিছু হোস্টেলে ঘুরলাম; যেখানকার পরিবেশ কমবেশি একই রকম অস্বাস্থ্যকর এবং অস্বস্তিকর। কি ছাত্র কি চাকুরে, নারীই হোন বা পুরুষ, ব্যাচেলর বা অবিবাহিতদের যেন এটাই নিয়তি!
এই যে তরুণরা, তারাই তো দেশের ভবিষ্যৎ। একজন তরুণ যদি বাসা পেতে চান, তাকে জিজ্ঞেস করা হয় তিনি বিবাহিত কিনা। না হলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তারা বাড়ি ভাড়া পেতে হয়রান হন। কিন্তু বিয়ের আগে কে কবে ব্যাচেলর ছিল না! এমনকি যিনি এ প্রশ্ন করেন, তিনিও তো একদিন ব্যাচেলরই ছিলেন, তাই না? তার মানে তো আর এই নয় যে ব্যাচেলর মানেই খারাপ লোক! এ জায়গাটায়ই আমরা হাত দিলাম।
খাওয়া
