সংশোধিত পূর্বাভাসে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রবৃদ্ধি কমিয়েছে বিশ্বব্যাংক। চলতি ও আগামী দুই বছরে দেশটির প্রবৃদ্ধি নিজেদের আগের পূর্বাভাসের তুলনায় কমিয়েছে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানটি। দেশটির নীতিমালা নিয়ে অনিশ্চয়তা অব্যাহত থাকায় ও ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কমিশন (এসকম) আর্থিক খাতে চাপ সৃষ্টি করায় বিশ্বব্যাংক দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে। খবর ফিনটোয়েনটিফোর।
দক্ষিণ আফ্রিকা নিয়ে সংস্থাটির প্রকাশিত প্রতিবেদনে গত বছরের মতো চলতি বছরও দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এপ্রিলে দেশটির প্রবৃদ্ধি যে পরিমাণ বাড়বে বলে পূর্বাভাস করা হয়েছিল, এটি তার চেয়ে দশমিক ৫ শতাংশীয় পয়েন্ট কম। এদিকে সংশোধিত প্রতিবেদনে ২০২০ সালে দেশটির প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশ হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে, যা এপ্রিলের পূর্বাভাসের চেয়ে দশমিক ৭ শতাংশীয় পয়েন্ট কম। অন্যদিকে ২০২১ সালে দেশটির প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৩ শতাংশ হতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে, যা আগের পূর্বাভাসের চেয়ে দশমিক ৫ শতাংশীয় পয়েন্ট কম।
এদিকে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসে বড় পরিবর্তনের বিষয়টি চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে দেশটির প্রকৃত মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) উল্লেখযোগ্যভাবে শ্লথ হয়ে পড়ার ইঙ্গিত দেয়। বিনিয়োগকারীদের দুর্বল আস্থা, নীতিমালা নিয়ে অব্যাহত অনিশ্চয়তা দেশটির অর্থনীতি শ্লথ হয়ে পড়ার জন্য দায়ী। এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ খাত এসকমের জন্য কোনো সমাধান এখনো খুঁজে পাওয়া না যাওয়া প্রবৃদ্ধি শ্লথ হয়ে পড়ার অন্যতম কারণ। এসকমের জন্য ফলপ্রসূ কোনো সমাধান পাওয়া গেলে আর্থিক খাতের প্রত্যাশা-প্রাপ্তির (ফিসক্যাল স্লিপ্যাজেস) মধ্যে ব্যবধান কমে আসবে।
তবে বিদ্যুৎ ঘাটতি, ব্যবসায়ীদের দুর্বল আস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার সম্মিলিত ধাক্কা দেশটির বিনিয়োগ খাতের দুরবস্থা আরো বাড়াবে। এসব পরিস্থিতি ভোগ্য খাত ও রফতানি প্রবৃদ্ধিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এদিকে রেটিং সংস্থা মুডি’স দেশটির চলতি বছরের সংশোধিত পূর্বাভাস ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ৭ শতাংশে নির্ধারণ করেছে।
তবে দেশটির নাজুক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিভিন্ন দিক থেকে প্রতিকূল অবস্থার মুখে রয়েছে। বিশেষত বিরাজমান উচ্চ বেকারত্ব ও বৈষম্যের দখল সামলাতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে দেশটির অর্থনীতি। এদিকে ফেব্রুয়ারিতে পেশ করা বাজেটে ন্যাশনাল ট্রেজারি দেশটির প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস করেছিল।