নিষেধাজ্ঞার জের ধরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রযুক্তিপণ্য ও সেবা আমদানি বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে চীনা টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়ে। তবে অচিরেই এ অচলাবস্থা কিছুটা হলেও কাটতে যাচ্ছে। মার্কিন প্রশাসন নিজ দেশের কয়েকটি কোম্পানিকে হুয়াওয়ের কাছে নন-সেনসিটিভ প্রযুক্তিপণ্য সরবরাহের লাইসেন্স দিতে যাচ্ছে। চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের উচ্চ পর্যায়ের বাণিজ্য প্রতিনিধিদের বৈঠকের পর এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে। খবর নিউইয়র্ক টাইমস ও রয়টার্স।
চলতি বছর চীন-মার্কিন বাণিজ্য বিরোধের হাওয়া লাগে প্রযুক্তি খাতেও। হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের ওপর গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনে ওয়াশিংটন। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত মে মাসে হুয়াওয়েকে কালো তালিকাভুক্ত করে মার্কিন প্রশাসন। বলা হয়, অনুমতি ছাড়া কোনো মার্কিন প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবে না। এ কারণে চীনা প্রতিষ্ঠানটির জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে মোবাইল যন্ত্রাংশসহ বিভিন্ন প্রযুক্তিপণ্য ও সেবা আমদানির পথ বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি গুগলের সেবা প্রাপ্তি থেকেও বঞ্চিত হয় হুয়াওয়ে।
বিরোধ শুরুর পর থেকে একাধিক মার্কিন প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগে হুয়াওয়ের কাছে প্রযুক্তিপণ্য ও সেবা সরবরাহের অনুমতি চেয়ে আবেদন করে। গত আগস্টে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এরই মধ্যে আবেদনের সংখ্যা ১৩০ ছাড়িয়ে গেছে। মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ ইস্যুতে কিছুটা নমনীয় হওয়ার নীতি গ্রহণ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আপাতত চীনা প্রতিষ্ঠানটির কাছে নন-সেনসিটিভ প্রযুক্তিপণ্য সরবরাহের উদ্যোগ নিতে সম্মত হয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। তবে নন-সেনসিটিভ প্রযুক্তিপণ্যের তালিকায় কী থাকছে, তা জানা যায়নি।
মার্কিন বাণিজ্য বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা নিউইয়র্ক টাইমসকে জানান, কয়েকটি মার্কিন প্রতিষ্ঠানকে চীনে নন-সেনসিটিভ প্রযুক্তিপণ্য সরবরাহের অনুমতি দেয়ার বিষয়ে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে সবুজ সংকেত মিলেছে। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের বাণিজ্য প্রতিনিধিদের আলোচনা থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
হুয়াওয়ের পক্ষ থেকেও এ সম্ভাবনার বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
এদিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং শুয়াং বলেন, হুয়াওয়েসহ চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে চলমান মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আরো ‘নিরপেক্ষ ও যৌক্তিক’ সিদ্ধান্ত নিতে ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৫ মাসের চীন-মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধের ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহেও ২৮টি চীনা প্রতিষ্ঠানকে নতুন করে কালো তালিকাভুক্ত করেছে ওয়াশিংটন। এ তালিকায় চীনের