একুয়েডরের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশটির রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি পেট্রোমাজোনাসের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন দৈনিক গড়ে ১ লাখ ৬৫ হাজার ব্যারেল কমে আসতে পারে, যা মোট উত্তোলনের এক-তৃতীয়াংশ। এছাড়া দেশটির অন্যান্য তেলক্ষেত্রে উত্তোলন ব্যাহত হওয়ায় সামগ্রিকভাবে জ্বালানি পণ্যটির উৎপাদন কমে আসতে পারে। খবর রয়টার্স ও সিএনবিসি।
দেশটির অ্যামাজন অঞ্চলের সাচা, লিবার্তাদোর ও আউকা তেলক্ষেত্রগুলোর উৎপাদনও কমে আসতে পারে। সাচা তেলক্ষেত্রটির উত্তোলন দৈনিক গড়ে সাড়ে ৭২ হাজার ব্যারেল কমতে পারে। রাস্তা অবরোধের কারণে দেশটির ছয়টি প্রদেশে এরই মধ্যে জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে।
সম্প্রতি একুয়েডর সরকার জ্বালানি তেলে কয়েক দশক ধরে চলে আসা ভর্তুকি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এতে অভ্যন্তরীণ বাজারে রাতারাতি জ্বালানি পণ্যটির দাম বেড়ে যায়। সরকারের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। আন্দোলনকারীরা দেশটির কয়েকটি তেলক্ষেত্রে আক্রমণ করলে পণ্যটির উত্তোলন ব্যাহত হয়।
ভর্তুকি তুলে নেয়ায় দেশটিতে প্রতি গ্যালন ডিজেলের দাম ১ দশমিক ৩ ডলার থেকে বেড়ে ২ দশমিক ৩০ ডলার হয়েছে। আর প্রতি গ্যালন পেট্রলের দাম ১ দশমিক ৮৫ ডলার থেকে হয়েছে ২ দশমিক ৩৯ ডলার।
দেশটির সরকারপ্রধান বলেছেন, ৪০ বছর ধরে জ্বালানি তেলে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দেয়ার কারণে দেশটির অর্থনীতি পঙ্গু হতে বসেছে। এ অবস্থা থেকে বেরিরে আসতে এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং তিনি এ বিষয়ে অনড়। সম্প্রতি একুয়েডর বাড়তি আয়ের উদ্দেশ্যে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও রফতানি বাড়াতে আগামী জানুয়ারিতে ওপেকের সদস্যপদ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে।