সম্প্রতি সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভারতের উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ ও বিহারে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়। এর ফলে যে বন্যা হয়, তার কারণে প্রায় দেড়শ লোকের মৃত্যু হয়। ফারাক্কার কারণেই এ বন্যার তীব্রতা বলে বিহারের পানিসম্পদমন্ত্রী সঞ্জয় কুমার ঝাঁ বলছেন, ফারাক্কা ব্যারেজ ভেঙে ফেলতে হবে (ঢাকা ট্রিবিউিন ৭.১০.১৯)। ২০১৬ সালের বন্যায়ও বিহার, উত্তর প্রদেশ ও মধ্য প্রদেশের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার গত ২৩ আগস্ট দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেন এবং বলেন, বিহারের ফি বছর বন্যার মূল কারণ ফারাক্কা ব্যারেজ। এ ব্যারেজ নির্মাণের পর থেকে এর উজানে পলি জমে জমে নদীর তলা উঁচু হয়ে গেছে, ফলে বিহারের বিস্তীর্ণ এলাকার পানি দ্রুত নিষ্কাশিত হতে না পেরে বন্যা বাড়ছে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফারাক্কা ব্যারেজ তুলে দেয়ার দাবি জানান। ব্যাপারটি আসলেই সত্যি। এ ব্যারেজ নির্মাণের ফলে ভাগীরথীর মাধ্যমে অতিরিক্ত পানি পেয়ে হুগলি নদী ও কলকাতা বন্দরের উপকার হচ্ছে বটে, কিন্তু এর উজানে বিহার বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
গঙ্গা নদীর উৎস ভারতের উত্তরাখণ্ড প্রদেশের উত্তরকাশী জেলায় হিমালয় পর্বতমালার দক্ষিণ ঢাল থেকে বের হয়ে আসা গঙ্গোত্রী হিমবাহ, গড় সমুদ্রতল থেকে প্রায় ৭ হাজার ১০ মিটার উঁচুতে। এর কিছু পশ্চিমে একই উচ্চতায় একই জেলার যমুনেত্রী হিমবাহ থেকে যমুনা নদীর উত্পত্তি। এ দুই নদী ভাটিতে এলাহাবাদের কাছে মিলিত হয়। গঙ্গা প্রথমে ভাগীরথী নামে হিমালয় পর্বতমালা থেকে নামে, তারপর দেবপ্রয়াগের কাছে অলকানন্দার সঙ্গে মেলে। অলকানন্দা নদী চামোলি জেলার বদ্রিনাথের নিকটবর্তী হিমবাহ থেকে এবং এর উপনদী মন্দাকিনী কেদারনাথের কাছের হিমবাহ থেকে উত্পন্ন হয়েছে। ভাীগরথী দেবপ্রয়াগে অলকানন্দার সঙ্গে মিলিত হওয়ার পর এ মিলিত প্রবাহ গঙ্গা নাম ধারণ করেছে। এরপর গঙ্গা ঋষিকেশ ও হরিদ্বার হয়ে সমতলে প্রবেশ করেছে। হিমালয়ের ভেতরে গঙ্গাতীরের স্থানগুলো হিন্দুদের তীর্থভূমি। তবে সমতলে প্রবেশের মুখে হরিদ্বারে গঙ্গার ওপর একটি ব্যারেজ নির্মাণ করে এর পানি সরিয়ে নিয়ে গঙ্গা-যমুনার দোয়াব অঞ্চলে সেচ প্রদান করা হয়।
গঙ্গা এলাহাবাদের কাছে যমুনার সঙ্গে মিলিত হওয়ার আগে যমুনা মধ্যভারত থেকে উত্পন্ন চম্বল, বেতওয়া ও কেন নদের প্রবাহ গ্রহণ করে। গঙ্গা এরপর হিমালয় থেকে উত্পন্ন গোমতী নদী, এরপর সারদা, করনালী, মহকালী, ভেরী ও রাপ্তি নদীর পানি মিলিতভাবে
- স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে সচেতনতা বাড়াতে হবে
- ভেতর থেকেই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার প্রয়োজন
- প্রবাসী আয় বাড়িয়ে যেভাবে রিজার্ভ সংকট কমানো যেত
- সিটি ব্যাংক এমডি মাসরুর আরেফিনের জবাব
- একজন শেয়ারহোল্ডারের বক্তব্য
- ‘আমি দৃষ্টিশক্তি হারালেও চলার পথ হারাইনি’