দেশে প্যালিয়েটিভ সেবা প্রয়োজন বছরে ১০ লাখ রোগীর

রুবেল পারভেজ

নিরাময় অযোগ্য রোগে আক্রান্তদের জীবনের শেষ দিনগুলোর ভোগান্তি কমাতে দেয়া চিকিৎসাসেবাকেই বলা হয় প্যালিয়েটিভ কেয়ার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে দেশে ১০ লাখের মতো রোগী রয়েছে, যাদের সেবা প্রয়োজন। কিন্তু দেশে বর্তমানে প্যালিয়েটিভ সেবাদানে কাজ করছে হাতেগোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান, যার পুরোটাই আবার ঢাকাকেন্দ্রিক। ফলে বিশ্বব্যাপী প্যালিয়েটিভ সেবাদানে বা রোগীর শেষ দিনগুলোর ভোগান্তি কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রয়েছে পেছনের সারিতে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান দি ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের করা মৃত্যুর মান সূচক ২০১৫-এর  তথ্য অনুযায়ী, প্যালিয়েটিভ সেবা প্রাপ্যতার বিচারে ৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৭৯তম।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে ক্যান্সার, হূদরোগ, ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে নিরাময় অযোগ্য রোগীর সংখ্যাও, যাদের আরোগ্য লাভের আর কোনো সম্ভাবনা নেই। মানুষগুলোর জীবনের শেষ দিনগুলোর যন্ত্রণা কমাতে প্যালিয়েটিভ সেবার গুরুত্ব অপরিসীম।

দেশে প্যালিয়েটিভ সেবার বর্তমান চিত্র নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক চেয়ারম্যান . নিজামউদ্দিন আহমেদ বণিক বার্তাকে বলেন, আগের হিসাব অনুযায়ী দেশে প্যালিয়েটিভ সেবার প্রয়োজন আছে এমন রোগীর সংখ্যা যদি ছয় লাখ ধরা হয়, তাহলে এর মধ্যে শিশু রয়েছে ৩৯ হাজার। এদের যদি প্রাতিষ্ঠানিক চিকিৎসা কার্যক্রমের আওতায় সেবা দিতে হয়, তাহলে কমপক্ষে ১৪ হাজার শয্যার প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের যে জনবল বা শয্যা, তা দিয়ে এর মাত্র শূন্য দশমিক শতাংশকে সেবা দিতে পারছি আমরা।

বর্তমানে সরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে ঢামেকে ১২টি বিএসএমএমইউতে ১৯টি শয্যায় প্যালিয়েটিভ সেবা দেয়া হচ্ছে। জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতালের বহির্বিভাগে সীমিত পরিসরে সেবা দেয়া হয়। এছাড়া বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে ডেল্টা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ইউনাইটেড হাসপাতালে সেবা দেয়া হলেও সেটিও বেশ স্বল্প পরিসরে। এসব হাসপাতালে যে পরিমাণ শয্যা রয়েছে, তা নিয়ে শতাংশ রোগীকেও প্যালিয়েটিভ সেবা দেয়া যায় না। এছাড়া হসপিস বাংলাদেশসহ আশিক ফাউন্ডেশন, শান্তি অনকোলজি প্যালিয়েটিভ কেয়ার ইউনিটসহ কয়েকটি সংস্থা প্যালিয়েটিভ সেবা দেয়। ঢাকার বাইরে অন্য কোথাও

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন