অনেক প্রতাশা নিয়ে গতকাল থেকে শুরু হয়েছে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল)। যেখানে প্রথম দিনে চার ম্যাচের দুটিই ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। অন্য দুই ম্যাচেও ছিল বৃষ্টির দাপট। তবে যেটুকু খেলা হয়েছে, তাতে নৈপুণ্য দেখিয়েছেন বোলাররা। ব্যাটসম্যানদের মাঝে এদিন চোখ ছিল তামিম ইকবাল-মুমিনুল হকদের দিকে। কিন্তু তারা বড় কিছু না করেই ফিরে গেছেন সাজঘরে।
প্রথম স্তরের ম্যাচে গতকাল খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় রংপুর বিভাগ ও খুলনা বিভাগ। কিন্তু চারদিনের এ ম্যাচে প্রথম দিন একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। একইভাবে দ্বিতীয় স্তরের খেলায় রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মাঠে নামার কথা ছিল বরিশাল বিভাগ ও সিলেট বিভাগের। কিন্তু বৃষ্টিতে ভেসে গেছে এ ম্যাচের প্রথম দিনও। ঢাকার শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় স্তরের আরেক ম্যাচে লড়াইয়ে নামে চট্টগ্রাম বিভাগ ও ঢাকা মেট্রো। তবে বৃষ্টিবাধায় ৫১ ওভারের বেশি খেলা মাঠে গড়াতে পারেনি। ফতুল্লায় প্রথম স্তরের অন্য খেলায় দ্বৈরথে নামে ঢাকা ও রাজশাহী। ৫১.৫ ওভারের খেলায় দাপট দেখিয়েছেন চ্যাম্পিয়ন রাজশাহীর দুই বোলার শফিউল ইসলাম ও তাইজুল ইসলাম। ঢাকার সংগ্রহ ১৪৩/৭।
ফতুল্লায় বৃষ্টিবিঘ্নিত দিনে টস জিতে ঢাকাকে ব্যাটিং করতে পাঠায় রাজশাহী। ২৯ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে রাজশাহীকে প্রথম উইকেট এনে দেন তাইজুল। ১০ রান করে ফরহাদ রেজাকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আবদুল মজিদ। দ্বিতীয় উইকেটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন রনি তালুকদার ও জয়রাজ শেখ। তবে ১০৯ রানের বেশি দলকে টেনে নিতে পারেননি এ জুটিও। ৩৫ রান করা জয়রাজকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে ঢাকাকে দ্বিতীয় আঘাত দেন তাইজুল। ৬৩ রান করা রনিকে ফিরিয়ে ঢাকাকে বড় আঘাত দেন শফিউল ইসলাম। তার বলেই বোল্ড রাকুিবল হাসান (৮)। এরপর কোনো রান যোগ করতে না দিয়ে শুভাগত হোমকেও (১) ফিরিয়ে দেন তাইজুল। শফিউলের তৃতীয় শিকার হয়ে দলীয় ১৩১ রানে ফেরেন মোহাম্মদ শাকিল (৩)। কোনো রান যোগ করার আগেই ফিরে যান শাহাদাত হোসেন। তাকেও সাজঘরের পথ দেখান তাইজুল। ১৪৩ রান তুলতেই ঢাকা হারায় ৭ উইকেট। তাইজুল ৪ ও শফিউল নেন ৩ উইকেট।
এ ম্যাচের মতোই বৃষ্টিবাধায় পড়ে ঢাকা মেট্রো ও চট্টগ্রাম বিভাগের ম্যাচটি। এ ম্যাচে দুই জাতীয় ক্রিকেটার তামিম ও মুমিনুলকে ছাপিয়ে যান আরেক তারকা
