যত দামি খেলোয়াড়ই হোক না কেন, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে অভিষেক মৌসুমটা যে কঠিন চ্যালেঞ্জের হয়, তা ভালোভাবেই অনুধাবন করতে পারছেন ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচ, জোয়েলিনটন, নিকোলাস পেপে, ময়েজ কিন, ইসমাইলা সার ও চে অ্যাডামস। গত গ্রীষ্মের দলবদলে তাদের কিনতে খরচ পড়ে ২৩ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড বা প্রায় ২ হাজার ৪৩৬ কোটি টাকা। ব্যয়বহুল এ খেলোয়াড়রা ৪৯ ম্যাচে মাত্র তিন গোল করতে পেরেছেন। এমনকি নিয়মিত একাদশে সুযোগ পেতেও সংগ্রাম করতে হচ্ছে তাদের।
প্রিমিয়ার লিগের খেলা চিরাচরিতভাবে গতি আর শারীরিক সক্ষমতানির্ভর। তাই এখানে সাফল্য পাওয়ার ক্ষেত্রে শুধু মেধাই যথেষ্ট নয়। হয়তো এ কারণেই ধুঁকছেন উপর্যুক্ত খেলোয়াড়রা।
ক্রিস্টিয়ান পুলিসিক (চেলসি): বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে ৫৮ মিলিয়ন পাউন্ডে পুলিসিককে কিনে নেয় চেলসি। ব্লুজদের হয়ে এখন পর্যন্ত সাত ম্যাচ খেললেও কোনো গোল পাননি এ আমেরিকান। গত সপ্তাহে সাউদাম্পটনের বিপক্ষে দারুণ এক পাসে মিচি বাতসুয়াইকে দিয়ে গোল করিয়েছেন তিনি। এছাড়া চলতি মৌসুমটি তার দুঃস্বপ্নের মতোই কাটছে।
জোয়েলিনটন (নিউক্যাসল): হফেনহেইম থেকে ৪০ মিলিয়ন পাউন্ডে কেনা ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড আট ম্যাচে করেছেন এক গোল। নিউক্যাসলে বিখ্যাত ৯ নম্বর জার্সিতে তিনি ফ্লপ এবং তাকে কেনাটা এখন পর্যন্ত অকার্যকর প্রমাণিত।
নিকোলাস পেপে (আর্সেনাল): লিল থেকে ক্লাব রেকর্ড ৭২ মিলিয়ন পাউন্ডে কেনা নিকোলাস পেপে হতাশ করে চলেছেন আর্সেনাল সমর্থকদের। ১০ ম্যাচে মাত্র এক গোল! অথচ তাকে ঘিরে অনেক স্বপ্ন দেখছিলেন গানার সমর্থকরা। কেননা লিলের হয়ে ৭৪ ম্যাচে ৩৫ গোল করেছেন এ উইঙ্গার।
ময়েজ কিন (এভারটন): গত মৌসুমে জুভেন্টাসে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দু-একটি গোল করে আলোয় আসেন ময়েজ কিন। তবে তুরিনে খেলার সুযোগ কমই ছিল। তাই এভারটনের ডাকে সাড়া দিয়ে নাম লেখান ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে। তাকে ২৫ মিলিয়ন পাউন্ডে কিনে নেয় টফিসরা। কিন্তু নয় ম্যাচে তিনি গোলহীন।
ইসমাইলা সার (ওয়াটফোর্ড): ফরাসি ক্লাব রেনে থেকে ২৫ মিলিয়ন পাউন্ডে ইসমাইলা সারকে কেনে ওয়াটফোর্ড। ২১ বছর বয়সী এ উইঙ্গারকে কিনতেই ক্লাব রেকর্ড গড়ে ওয়াটফোর্ড। তবে তিনি আস্থার প্রতিদান দিতে ব্যর্থ। এখন পর্যন্ত সাত ম্যাচে করেছেন একটি গোল। একমাত্র গোলটি করেন কারাবাও কাপে কভেন্ট্রি সিটির বিপক্ষে।
চে অ্যাডামস (সাউদাম্পটন): বাকিদের চেয়ে চে অ্যাডামস খানিকটা আলাদা। কেননা ইংলিশ ফুটবলে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। যদিও তা