কাজের চাপে জীবন যখন অতিষ্ঠ, হঠাৎ তখনই পেয়ে গেলেন একটা ছুটি। এ ছুটি কাজে লাগিয়ে ঘুরে আসুন দর্শনীয় কোনো স্থান। যদি পরিকল্পনা থাকে দেশের বাইরে যাওয়ার, তাহলে ধারেকাছে পছন্দসই একটি দেশ হতে পারে মালয়েশিয়া। সমুদ্র, পাহাড়, দ্বীপ কী নেই এশিয়ার ভ্রমণের স্বর্গ এ মালয়েশিয়ায়।
কুয়ালালামপুরের কাছেই পাবেন গেনটিন হিল রিসোর্ট। ঠাণ্ডা আবহাওয়ার জন্য পরিচিত পাহাড়ি অঞ্চলের এ রিসোর্টে পাবেন থিম পার্ক, কেবল কার, ক্যাসিনো ইত্যাদি। কুয়ালালামপুরের মধ্যেই আছে টুইন টাওয়ার নামে খ্যাত প্যাট্রোনাস টাওয়ার। দুই টাওয়ারের মাঝের ব্রিজকে বলা হয় স্কাই ব্রিজ।
সৈকতে বিশ্রামের জন্য আপনাকে যেতে হবে কুয়ালালামপুর থেকে ৪১৩ কিলোমিটার দূরে। আন্দামান সমুদ্রের ১০৪টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত এই লাঙ্কাওই সমুদ্রসৈকত। কুয়ালালামপুর থেকে ৩৫৫ কিলোমিটার দূরেই আছে আরেকটি পর্যটন এলাকা পেনাং। এখানকার মূল আকর্ষণ কেবল ট্রেন। দেশটিতে রয়েছে ১৩০ মিলিয়ন বছর আগের তামান নিগারা ন্যাশনাল পার্ক। এটি বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন রেইন ফরেস্ট। জাতীয় এ উদ্যানের ভেতরে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঘুরে দেখার সুযোগ করেছে। এছাড়া রয়েছে বিখ্যাত বাতু কেভস। চুনাপাথরের তিনটি বিশাল আকৃতির গুহা নিয়ে এই বাতু কেভস আসলে একটি গুহার মন্দির। মন্দিরে উঠতে আপনাকে ২৭২টি সিঁড়ি পাড়ি দিতে হবে।
মালয়েশিয়ার ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে আপনি চলে যেতে পারেন সারাওয়াক কালচার ভিলেজে। দেশটির সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ইতিহাস দেখার জন্য এই সারাওয়াক দুর্দান্ত একটি জায়গা। আপনি সেখানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর পারফরম্যান্স, সংগীত কর্মশালা, শিল্পকর্ম দেখতে পারবেন।
সূত্র: অ্যাডভেঞ্চার ইন ইউ