সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তল্লাশি চালানো হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

উচ্ছৃঙ্খলতা প্রতিরোধে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হলে নিয়মিত তল্লাশি (সার্চ) চালানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর ভারত যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে গতকাল গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ উঠলে কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাকে বলব, যখন ঘটনা একটা জায়গায় ঘটেছে। তাহলে প্রত্যেকটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, প্রতিটি হল সব জায়গায় সার্চ করা দরকার। কোথায় কী আছে না আছে খুঁজে দেখা দরকার।

তিনি বলেন, কারা ধরনের মাস্তানি করে বেড়ায়, কারা ধরনের ঘটনা ঘটায়, সেটা দেখা দরকার। সামান্য টাকায় একেকজন রুমে থাকবে, আর সেখানে বসে ধরনের মাস্তানি করবে। সমস্ত খরচ বহন করতে হবে জনগণের ট্যাক্সের পয়সা দিয়েএটা কখনো গ্রহণযোগ্য নয়। প্রত্যেকটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, প্রতিটি হল, শুধু ঢাকা নয়, সারা বাংলাদেশে সব জায়গায় সার্চ করা হবে। সেই নির্দেশটা আমি দিয়ে দেব। আপনাদের (সাংবাদিকদের) সহযোগিতা চাই। আপনারা বের করে দিন, কোথায় ধরনের অনিয়ম বা উচ্ছৃঙ্খলতা কিংবা ধরনের কর্মকাণ্ড কারা করছে। কোনো দলটল আমি বুঝি না।

আবরার ফাহাদের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ যদি কোনো অপরাধ করে, সে কোন দল, কী করে না করে, আমি কিন্তু সেটা দেখি না। আমার কাছে অপরাধী অপরাধীই। নৃশংসতা কেন? জঘন্য কাজ কেন? এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। যত রকমের উচ্চশাস্তি আছে, সেটা দেয়া হবে। কোনো সন্দেহ নেই। দলটল বুঝি না। অপরাধের বিচার হবেই।

তিনি বলেন, বুয়েটের ঘটনা সকালে জানার সঙ্গে সঙ্গে আমি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলাম আলামত সংগ্রহ করার জন্য। সঙ্গে এটাও বলেছিলাম যে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করতে। তারা সেখানে পৌঁছে যায়। আলামত সংগ্রহ করে এবং সিসিটিভি ফুটেজগুলো দীর্ঘ সময় ধরে সংগ্রহ করে। যখন পুলিশ সিসি ক্যামেরা থেকে ফুটেজ হার্ডডিস্কে নিয়ে আসছে, তখন তাদের ঘেরাও করা হলো। তাদের ফুটেজ নিয়ে আসতে দেয়া হবে না। আইজিপি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে বলল, আমাদের লোকদের আটকে রেখে দিয়েছে। আলামত নিয়ে আসতে দিচ্ছে না। ফুটেজগুলো আনতে দেবে না কেন? এখানে প্রশ্নটা আমার। পুলিশকে আসতে দেবে না, আলামত নিতে দেবে না। কেন?

ছাত্র রাজনীতি বন্ধ?

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন