বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় দুই ধাপ অবনমন বাংলাদেশের

নিজস্ব প্রতিবেদক

বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সূচকে আরো দুই ধাপ অবনমন হয়েছে বাংলাদেশের। দ্য গ্লোবাল কম্পিটিটিভনেস ইনডেক্স . র‍্যাংকিংয়ে বছর বিশ্বের ১৪১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান (র্যাংকিং) ১০৫তম। গত বছর র্যাংকিংয়ে ১৪০টি দেশের মধ্যে ১০৩তম ছিল বাংলাদেশ।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) গতকাল সারা বিশ্বে একযোগে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা প্রতিবেদন (জিসিআর) প্রকাশ করেছে। ডব্লিউইএফের পক্ষে বাংলাদেশে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) প্রতিবেদন প্রকাশ করে। উপলক্ষে রাজধানীতে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রতিবেদনে বাংলাদেশের পরিস্থিতি তুলে ধরেন।

ডব্লিউইএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সূচকে এবার মোট ১২টি স্তম্ভের ১০টিতেই পতন ঘটেছে বাংলাদেশের। প্রতিযোগিতার স্কোর নির্ধারণে জরিপকালে বিবেচনায় নেয়া ১২টি স্তম্ভ হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম, অবকাঠামো, তথ্যপ্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তি, সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্য, দক্ষতা, পণ্যবাজার, আর্থিক ব্যবস্থা, শ্রমবাজার, বাজারের আকার, ব্যবসায়িক গতিশীলতা উদ্ভাবনী সক্ষমতা।

গত বছর প্রতিবেদনের জরিপে বাংলাদেশের ৯৩টি প্রতিষ্ঠানের তথ্য-উপাত্ত থাকলেও এবার ৭৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ গাজীপুরে অবস্থিত। জরিপের মূল্যায়নকাল ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত।

জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, ১২টির মধ্যে দুটি স্তম্ভে বাংলাদেশ ভালো করেছে। একটি পণ্যবাজার, অন্যটি স্বাস্থ্য খাত। দুটি ক্ষেত্রে যথাক্রমে চার তিন ধাপ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। বাংলাদেশ মাত্র একটি স্তম্ভের প্রথম শীর্ষ সারির ৫০টি দেশের মধ্যে স্থান পেয়েছে। এটি হচ্ছে বড় বাজার হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৬তম। অন্যান্য সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৫০ থেকে ১০০ বা তার উপরে। এর মধ্যে সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতায় ৯৫তম স্বাস্থ্যে ৯৩তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। বাকি স্তম্ভগুলোয় বাংলাদেশের অবস্থান ১০০-এর উপরে।

বাংলাদেশের দুর্বল অবস্থানের কারণ প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়, আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশের একটি দুর্বলতা। স্কিল বা দক্ষতা বাংলাদেশের জন্য ভয়ের জায়গা। দক্ষতা বাড়ানো না গেলে বাংলাদেশের বড় শ্রমশক্তি বোঝা হয়ে হয়ে দাঁড়াতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে এতে।

প্রতিযোগিতা সক্ষতার কোনো কোনো সূচকে বাংলাদেশ বেশ পেছনে পড়ে আছে। যেমন অনিরাপদ পানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৬তম, বাণিজ্য শুল্কে ১৩০তম, ব্যাংকের সাউন্ডনেসে ১৩০তম, অডিটিং

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন