সামনের মাসে কর্মীদের বেতন দেয়ার মতো অর্থ নেই জাতিসংঘের : মহাসচিব

বণিক বার্তা ডেস্ক

সদস্য দেশগুলো প্রতিশ্রুত চাঁদা পরিশোধ না করলে সামনের মাসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দেয়ার মতো পর্যাপ্ত অর্থ জাতিসংঘের হাতে না- থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস। মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বাজেট কমিটির কাছে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

সময় জাতিসংঘ মহাসচিব জানান, চলতি বছরের জানুয়ারিতে যদি তিনি ব্যয় সংকোচনের উদ্যোগ না নিতেন, তাহলে জাতিসংঘের কাছে গত মাসে বিশ্বনেতাদের বার্ষিক সম্মেলন আয়োজনে ব্যয় করার মতো যথেষ্ট পরিমাণে নগদ অর্থ থাকত না।

তিনি বলেন, চলতি মাসে আমরা এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় ঘাটতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছি। সেক্ষেত্রে বেতন পরিশোধের মতো যথেষ্ট নগদ অর্থের ঘাটতি নিয়ে নভেম্বর শুরু করতে পারি আমরা। বর্তমানে আমাদের কার্যক্রম সংস্কারগুলো ঝুঁকির সম্মুখীন।

জাতিসংঘের আর্থিক তহবিলে যুক্তরাষ্ট্রের অবদান সবচেয়ে বেশি। চলতি বছরের ৩৩০ কোটি ডলারের নিয়মিত বাজেটে দেশটির অবদান ২২ শতাংশ। বাজেট দিয়ে সংস্থাটির রাজনৈতিক, মানবিক, নিরস্ত্রীকরণ, অর্থনৈতিক, সামাজিক কার্যক্রম যোগাযোগসংক্রান্ত কার্যক্রমের ব্যয় নির্বাহ করা হয়।

নিয়মিত বাজেটের বাইরেই ওয়াশিংটনের কাছে প্রতিশ্রুত অর্থ বাবদ ৩৮ কোটি ১০ লাখ ডলার পাবে জাতিসংঘ। অন্যদিকে চলতি বছরের নিয়মিত বাজেট বাবদ দেশটির কাছে ৬৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার প্রতিশ্রুত অর্থ পাওনা রয়েছে জাতিসংঘের। এছাড়া ভিন্ন আরেকটি বাজেটের আওতায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনের ব্যয় নির্বাহ করা হয়। চলতি বছরের ৩০ জুন শেষ হওয়া বছরে বাজেটের পরিমাণ ৬৭০ কোটি ডলার। আগামী বছরের ৩০ জুন শেষ হওয়া বছরের জন্য বাজেটের ব্যাপ্তি ধরা হয়েছে ৬৫১ কোটি ডলার।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্তেফান দুয়ারিচ জানান, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১২৯টি দেশ তাদের বকেয়া পরিশোধ করে দিয়েছে; যার মোট পরিমাণ প্রায় ২০০ কোটি ডলার।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন