প্রতিবন্ধীদের অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিতকরণের উদ্দেশ্যে ২০১৩ সালে প্রণয়ন করা হয় ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন’। এরপর অর্ধযুগ পেরিয়ে গেলেও আইনটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন ও প্রয়োগ করা হয়নি। ফলে প্রতিবন্ধীদের অবস্থাও তেমন বদলায়নি। তাই কালক্ষেপণ না করে যথাযথভাবে আইনটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের অধিকার ও সুরক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন মানবাধিকার কর্মী ও প্রতিবন্ধীদের জাতীয় ও তৃণমূল পর্যায়ের সংগঠনসংশ্লিষ্টরা।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইনের ষষ্ঠ বছর অতিক্রম উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩: বাস্তবায়ন, বিদ্যমান পরিস্থিতি ও করণীয়’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা তুলে ধরেন বক্তারা। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আর্থিক সহায়তায় ও ব্লু ল ইন্টারন্যাশনাল এলএলপির সার্বিক তত্ত্বাবধানে জাতীয় তৃণমূল প্রতিবন্ধী সংস্থা (এনজিডিও) ও বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) সহযোগিতায় প্রতিবন্ধী নারীদের জাতীয় পরিষদ (এনসিডিডব্লিউ) এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মানবাধিকার কর্মী ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেন, প্রতিবন্ধীদের নিয়ে আইন তৈরি হয়েছে। কিন্তু ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও সে আইন বাস্তবায়নে আন্দোলনে নামতে হচ্ছে। আমরা বলছি দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের রোল মডেল বলে ঘোষণা দিচ্ছি। কিন্তু আদতে কী হচ্ছে। আমরা কি উন্নয়নের সঙ্গে সভ্যতার তাল মেলাতে পারছি।
সুলতানা কামাল বলেন, একটি আন্দোলনের মুখে কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু প্রতিবন্ধীদের কোটা বাতিল বিষয়টি কতটা সংবেদনশীল তা বুঝতে হবে।
এ সময় তিনি বলেন, আমাদের উন্নয়ন হচ্ছে, তবে তা দুর্নীতিতে। ছাত্রকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক, জাতীয় তৃণমূল প্রতিবন্ধী সংস্থার সভাপতি আব্দুল হাই মন্ডল, ব্লু ল ইন্টারন্যাশনালের ইন-কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রেজাউল করিম সিদ্দিকী এবং ব্লাস্টের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং উপদেষ্টা তাজুল ইসলাম। প্রতিবন্ধী নারীদের জাতীয় পরিষদের সভাপতি নাসিমা আক্তারের সভাপতিত্বে এতে মূল প্রবন্ধ