পদ্মা নদীতে পানি বেড়ে সৃষ্ট বন্যায় নাটোরের লালপুরে ১ হাজার ৩০৮ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ১৪০ হেক্টরই আখ। এ বন্যায় কৃষিতে সার্বিক ক্ষতির পরিমাণ ৬ কোটি ১৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। লালপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, চলতি মাসের শুরুর দিকে পদ্মা নদীতে পানি বেড়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা দেখা দেয়। এ বন্যায় নাটোরের লালপুর সদর, বিলমাড়িয়া, ঈশ্বরদী দুরদড়িয়াসহ চারটি ইউনিয়নের সব চর ডুবে যায়। এতে তলিয়ে যায় আগাম জাতের শীতকালীন সবজি, আখ, কলাবাগানসহ বিভিন্ন ফসল। এক সপ্তাহের বন্যায় লালপুরের ১৮টি চরের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে তিনদিন ধরে পদ্মার পানি কমতে থাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে বন্যার ক্ষতি নিরূপণ করেছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
কৃষি বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, লালপুরে চার হাজারের বেশি কৃষকের ১ হাজার ৩০৮ হেক্টর জমিরতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষতি হয়েছে ১২১ হেক্টর ও আংশিক ক্ষতি হয়েছে ১ হাজার ১৭৮ হেক্টরে। নয়টি ফসলের মধ্যে সবজির ক্ষতি হয়েছে ৭৬ হেক্টর, কলা ১৬, ফল ৪৫, আখ ১ হাজার ১৪০, মাষকালাই ২২, তুলা সাত, লুদ ছয় ও আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে ৯৫ হেক্টরে।
লালপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান,আকস্মিক বন্যায় লালপুর উপজেলার চারটি চরে চলতি মৌসুমে চাষ করা সব ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করেছি। মোট ক্ষতির পরিমাণ ৬ কোটি ১৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। কৃষকরা যাতে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেন, সে ব্যাপারে মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তর থেকে কোনো বরাদ্দ এলে তাদের সহযোগিতা করা হবে।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মুল বানীন দ্যুতি বলেন, চরাঞ্চলের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের তালিকা করা হয়েছে। আমরা তাদের সরকারি সহযোগিতা দেয়ার চেষ্টা করছি।
