ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডায়িং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পর্ষদ সভা আজকের পরিবর্তে ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয় পর্যালোচনা করা হবে।
সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন
অনুসারে, সমাপ্ত হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) কোম্পানিটির
শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৯ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ৮৮ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ইপিএস
হয়েছে ২৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ১৩ পয়সা। ৩১ মার্চ কোম্পানিটির
শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য
(এনএভিপিএস)
দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৪০ পয়সা।
২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের
জন্য ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে বস্ত্র খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি। সে হিসাব
বছরে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ১ টাকা ৪১ পয়সা। হিসাব বছর শেষে এনএভিপিএস দাঁড়ায় ২১
টাকা ৪৫ পয়সা। ২০১৭ হিসাব বছরের জন্য ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় ফারইস্ট নিটিং। সে
হিসাব বছর কোম্পানিটির ইপিএস হয় ২ টাকা ১৬ পয়সা।
সর্বশেষ রেটিং অনুসারে, ফারইস্ট
নিটিংয়ের ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে
‘ডাবল এ মাইনাস’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-টু’। সর্বশেষ
নিরীক্ষিত-অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও হালনাগাদ অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ
প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড।
ডিএসইতে গতকাল ফারইস্ট নিটিং শেয়ারের
সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ১১ টাকা ৫০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও
সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ১১ টাকা ৪০ পয়সা ও ১৯ টাকা ৪০ পয়সা।
২০১৪ সালে তালিকাভুক্ত ফারইস্ট
নিটিংয়ের অনুমোদিত মূলধন ৩০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ২০৪ কোটি ২৪ লাখ ৩০ হাজার
টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১৫১ কোটি ৫১ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারের ৬৭ দশমিক ৫৮
শতাংশ উদ্যোক্তা-পরিচালক, ১২ দশমিক ৬০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ১৯ দশমিক ৮২ শতাংশ
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস ও বাজারদরের
ভিত্তিতে শেয়ারটির মূল্য-আয় অনুপাত বা পিই রেশিও ৮ দশমিক ৯৮, সর্বশেষ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে
যা ৯ দশমিক ৬৯।
