মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চলা অভিশংসন তদন্তে প্রতিনিধি পরিষদের কমিটিগুলোকে সহযোগিতা করা হবে না বলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছে হোয়াইট হাউজ। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার ছেলে হান্টারের দুর্নীতি তদন্তে চাপ দিতে ট্রাম্প ইউক্রেনের সামরিক সহায়তা আটকে দিয়েছিলেন কিনা, তা খতিয়ে দেখছে ডেমোক্রেটিক নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি পরিষদের তিনটি কমিটি। খবর বিবিসি।
ডেমোক্রেটিক নেতাদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে হোয়াইট হাউজ অভিশংসন তদন্তকে ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘সাংবিধানিকভাবে অবৈধ’ বলে অভিহিত করেছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুলাই প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন ট্রাম্প। এ সময় আগামী নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টিতে প্রেসিডেন্ট মনোনয়নপ্রত্যাশী জো বাইডেনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য তার ছেলে হান্টার বাইডেনের অতীত ব্যবসার ব্যাপারে তদন্তে জেলেনস্কিকে চাপ দেন ট্রাম্প। বিনিময়ে ইউক্রেনের জন্য বরাদ্দ প্রায় ৪০ কোটি ডলারের অর্থসহায়তা তহবিল অনুমোদন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এই কথোপকথনের তথ্য ফাঁস করেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) অজ্ঞাতনামা এক কর্মকর্তা।
অভিশংসন নিয়ে তদন্ত করা একটি কমিটির কাছে ইউরোপীয় ইউনিয়নে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত গর্ডন সনল্যান্ডের সাক্ষ্য দেয়ার কথা থাকলেও ট্রাম্প প্রশাসন তা আটকে দিয়েছে। এ পদক্ষেপের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হোয়াইট হাউজ সহযোগিতা না করার কথা জানিয়ে দেয়।
শীর্ষ ডেমোক্রেটিক নেতা ও প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি এবং তিন কমিটির চেয়ারম্যানদের কাছে আট পৃষ্ঠার চিঠিতে অভিশংসন তদন্তে সহযোগিতা করা হবে না বলে জানান হোয়াইট হাউস কাউন্সেল প্যাট সিপোলোনে। চিঠিতে কংগ্রেসে কোনো ধরনের ভোট ছাড়াই এ ধরনের তদন্তে আপত্তি জানানো হয়েছে।
ডেমোক্রেটিকরা ২০১৬ সালের নির্বাচনের ফল বদলে দেয়ার চেষ্টা করেছিল বলেও অভিযোগ তুলে সিপোলোনে চলমান অভিশংসন তদন্তকে ‘সাংবিধানিকভাবে অবৈধ’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
চিঠিতে তিনি বলেন, এ পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার প্রশাসন আপনাদের দলীয় এবং অসাংবিধানিক তদন্তে অংশ নিতে পারে না।
এদিকে, হোয়াইট হাউজের এ চিঠিতে অভিশংসন তদন্তকে ‘ভুলভাবে উপস্থাপন’ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পেলোসি। তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলেও আইনের ঊর্ধ্বে নন।
ডেমোক্রেটিকদের দাবি, বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্তে চাপ দেয়ার মাধ্যমে ট্রাম্প বিদেশী একটি রাষ্ট্রকে মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপের সুযোগ করে দিয়েছেন। অবশ্য ট্রাম্প জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপে বাইডেন ও তার ছেলের দুর্নীতি তদন্ত নিয়ে কথা বলার কথা