নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে দুই সপ্তাহ ধরে ঊর্ধ্বমুখী ডালের বাজার। এ সময় প্রকারভেদে দাম বেড়েছে ৩ থেকে ৮ টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে মাষকলাইয়ের দাম। প্রতি কেজিতে এর দাম বেড়েছে ১০ টাকা। এছাড়া খেসারির দাম বেড়েছে ৮ ও মুগের ৫ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম এবং দেশী ডালের উৎপাদন মৌসুম শেষ পর্যায়ে থাকায় দাম কিছুটা বাড়তি।
গতকাল সরেজমিন নিতাইগঞ্জে গিয়ে দেখা
যায়, দেশী
মসুর বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ৮৭ টাকা কেজি দরে। এক সপ্তাহ অগেও একই ডাল বেচাকেনা
হয়েছিল ৮৯ টাকা দরে। সে হিসেবে দেশী ডালের দাম কেজিপ্রতি কমেছে ২ টাকা। তবে ভারত
থেকে আমদানীকৃত দিল্লি সুপার ডাল কেজিতে ৩ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে ১০৩ টাকায়।
বোল্ডার ডাল ২ টাকা বেড়ে প্রতি কেজির দাম দাঁড়িয়েছে ৪৭ টাকা। এছাড়া মানভেদে বেড়েছে অন্যান্য ডালের দাম।
মদন মোহন ভাণ্ডারের স্বত্বাধিকারী নীল
কমল সাহা জানান, মসুরসহ সব ডালের দাম কিছুটা বেড়েছে। দেশে উৎপাদিত মুগডাল ও মাষকলাইয়ের
উৎপাদন মৌসুম শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এ কারণে বাজারে খেসারি, মুগ
ও মাষকলাইয়ের দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে নতুন ডাল বাজারে এলেই দাম আবার কমে আসবে।
ডাল ব্যবসায়ী বিপ্লব সাহার দাবি, গত
এক বছর ডালের বাজার খুবই নিম্নমুখী ছিল। অনেক দিন পর এসে কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু
এটি বাজারে কোনো প্রভাব ফেলেনি।