ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা সূচকে এবছর আরো দুধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। ১৪১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১০৫। গেলবছর তার ২০১৭ সালের তুলনায় একধাপ পিছিয়ে অবস্থান ছিল ১০৩-এ।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানা গেছে।
একটি দেশের অবস্থান বিচারের জন্য প্রতিষ্ঠান, অবকাঠামো, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার, সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্য, দক্ষতা, পণ্যবাজার, শ্রমবাজার, আর্থিক ব্যবস্থা, বাজারের আকার, বাজারের গতিশীলতা, নতুন ধারণার আত্মীকরণ- এই ১২টি মানদণ্ড ব্যবহার করেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম।
এসব মানদণ্ডের ভিত্তিতে ১০০ ভিত্তিক সূচকে সব মিলিয়ে এবার বাংলাদেশের স্কোর হয়েছে ৫২, যা গতবছরের স্কোরের চেয়ে ০.১ কম।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সূচকের মানদণ্ডগুলোর মধ্যে স্বাস্থ্য, দক্ষতায় বাংলাদেশের স্কোর বাড়লেও প্রতিষ্ঠান, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার ও পণ্য বাজার পরিস্থিতিতে কমেছে। আর অবকাঠামো, সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, শ্রম বাজার, আর্থিক ব্যবস্থা, বাজারের আকার, বাজারের গতিশীলতা ও উদ্ভাবনী ক্ষমতায় এবারের স্কোর প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে।
ফোরামের গ্লোবাল কমপেটিটিভনেস রিপোর্ট ২০১৯ অনুযায়ী, মোট ১০০ পয়েন্টের মধ্যে ৮৪.৮ পয়েন্ট নিয়ে এ তালিকার শীর্ষে এসেছে সিঙ্গাপুর। আর গেলবার শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্র ৮৩.৭ পয়েন্ট নিয়ে চলে এসেছে দ্বিতীয়তে। এরপর শীর্ষ দশে থাকা অন্যান্য দেশগুলো হল যথাক্রমে- হংকং, নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড, জাপান, জার্মানি, সুইডেন, যুক্তরাজ্য ও ডেনমার্ক।
তালিকার সবার নীচের দিকে অবস্থান করছে মধ্য অফ্রিকার দেশ চাদ। এরপর রয়েছে- ইয়েমেন, কংগো, হাইতি, মোজাম্বিক, অ্যাংগোলা, বুরুন্ডি, মৌরিতানিয়া, ভেনেজুয়েলা, মোদাগাস্কার প্রভৃতি।
এই সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ৬ ধাপ পিছিয়েও এবারো সবার চেয়ে এগিয়ে আছে ভারত। ৬১.৪ স্কোর নিয়ে ভারত আছে সূচকের ৬৪ নম্বরে।
অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলংকা ৫৭.১ স্কোর নিয়ে সূচকের ৮৪তম (এগিয়েছে ১ ধাপ), ৫১.৪ স্কোর নিয়ে পাকিস্তান সূচকের ১১০ (পিছিয়েছে ৩ ধাপ) নম্বরে এবং নেপাল ৫১.৬ স্কোর নিয়ে ১০৮ নম্বরে (এগিয়েছে ১ ধাপ) অবস্থানে রয়েছে।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম ২০০১ সাল থেকে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে।