বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে গতকাল বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কোথাও সড়ক অবরোধও করেন বিক্ষোভকারীরা। বুয়েটের শিক্ষার্থীরা আট দফা দাবিও পেশ করেছেন। এ ঘটনায় গ্রেফতার ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মীর পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী এ আদেশ দেন।
আন্দোলনের দ্বিতীয় দিনে গতকাল বুয়েটের শিক্ষার্থীরা ভিসির কার্যালয়, একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন ও বুয়েটের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য বুয়েটে ভর্তি ও একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেন। এ সময় তারা আট দফা দাবিও পেশ করেন। দাবিগুলোর মধ্যে আছে অভিযুক্ত ছাত্রদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আজীবন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার। শেরেবাংলা হলের প্রভোস্টকে প্রত্যাহারের পাশাপাশি আবরারের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান ও মামলার খরচ বুয়েটকে বহনের দাবি জানানো হয়েছে। হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্বল্প সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করারও দাবি তোলা হয়েছে।
আবরারকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। গতকাল ডাকসুর রাজু ভাস্কর্য থেকে গায়েবানা জানাজায় নেতৃত্ব দেন ডাকসুর সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক আকতার হোসেন। এরপর প্রতীকী কফিন মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীদের বিশাল একটি মিছিল বুয়েট ক্যাম্পাসের দিকে রওনা হয়। ভিসি চত্বর ও পলাশী মোড় হয়ে বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে মিছিলটি। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান গ্রহণের পর বকশীবাজার হয়ে টিএসসিতে ফিরে আসে মিছিলটি।
গায়েবানা জানাজার পর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ডাকসুর ভিসি নুরুল হক নূর বলেন, ভারতের সঙ্গে দেশবিরোধী চুক্তির বিরোধিতা করায় আবরারকে হত্যা করা হয়েছে। আবরারের রক্তস্নাত দেশবিরোধী চুক্তি পুনর্বিবেচনা করতে হবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: আবরার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে বিভিন্ন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা জড়ো হন। সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা গেট দিয়ে বের হয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে এসে থামে। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি গেট ও জয় বাংলা গেটের সামনে বিক্ষোভ 
