বিদ্যুৎ সংযোগ ও খুঁটি স্থাপন

আরইবিতে ঘুষ-বাণিজ্যে জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে

জেসমিন মলি

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) অধীন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নতুন সংযোগ থেকে শুরু করে বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপন সরানোর মতো কাজে বাড়তি অর্থ দিতে হয় গ্রাহকদের। অভিযোগ রয়েছে, বিআরইবির কর্মকর্তা-কর্মচারী, লাইনম্যান ঠিকাদারকে ঘুষ না দিলে কাজই হয় না। ঘুষ-বাণিজ্যে অসন্তোষ বাড়ছে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের মধ্যে।

পল্লী বিদ্যুতের সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে হয়রানি ঘুষ-বাণিজ্যের বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সময় বিদ্যুৎ, জ্বালানি খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। প্রতিবারই বৈঠকে নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি তথা সংসদ সদস্যরা।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কমিটির বিভিন্ন বৈঠকে জনপ্রতিনিধিরা পল্লী বিদ্যুতের সেবা পেতে হয়রানির কথা তুলে ধরেন। এসব হয়রানি বন্ধে শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তাবও করেন তারা।

সংসদীয় কমিটির গত জুলাইয়ের বৈঠকটি ছিল বিআরইবির বিভিন্ন কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়ে। ওই বৈঠকেও পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ পেতে হয়রানির বিষয়টি উঠে আসে। কমিটির সদস্য হবিগঞ্জ- আসনের সংসদ সদস্য মো. আবু জাহির বলেন, গ্রামাঞ্চলে পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য নিয়োগকৃত মূল ঠিকাদাররা কাজ করেন না। মূল ঠিকাদার সাব-ঠিকাদার নিয়োগ করে। সাব-ঠিকাদার গ্রামে গ্রামে দালাল নিয়োগ করে। ফলে সাধারণ গ্রাহকের ভোগান্তি বাড়ে। সরকার বিনা মূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দিলেও ঠিকাদারদের সিন্ডিকেটের কারণে সাধারণ মানুষ সুযোগটি পাচ্ছে না।

এর আগে গত ৩০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে কুড়িগ্রাম- আসনের সংসদ সদস্য মো. আছলাম হোসেন সওদাগর বলেন, তার এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ নেয়ার জন্য গ্রাহকদের যথারীতি ফি প্রদান করতে হয়। ঠিকাদারদের মাধ্যমে বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপনের সময়ও অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করতে হয়। বিদ্যুতের মিটার স্থাপনের সময় - হাজার টাকা না দিলে বিদ্যুতের সংযোগ পাওয়া যায় না। টাকা না দিলে দুই বছরেও বিদ্যুতের সংযোগ মিলবে না বলে ঠিকাদাররা হুমকি দিয়ে থাকেন সংযোগপ্রত্যাশীদের।

একই ধরনের অভিযোগ করেন বগুড়া-  আসনের সংসদ সদস্য মো. নূরুল ইসলাম তালুকদার। তিনি বলেন, তার এলাকা আদমদীঘিতে বিদ্যুতের খুঁটি থাকা সত্ত্বেও ঠিকাদারকে টাকা না দিলে সংযোগ দেয়া হয় না। ওই বৈঠকে সংসদীয় কমিটির সভাপতি মো. শহীদুজ্জামান সরকার এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেন।

বিআরইবি-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পল্লী বিদ্যুতের সেবা প্রদানে ঘুষ-বাণিজ্যের কাজটি

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন