মেহেরপুরের গাংনীতে ফের ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিয়েছে। গত চারদিনে ২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। তবে সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় আক্রান্তের প্রকৃত হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা আরো বেশি বলেই ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করতে গিয়ে ব্যয় সংকুলান করতে হিমশিম খাচ্ছেন দরিদ্র রোগীরা।
এদিকে মেহেরপুরের বাকি দুই উপজেলা: সদর ও মুজিবনগরে শুরুর দিকে কিছু ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হলেও বর্তমানে এ দুই উপজেলায় নতুন করে কেউ আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে গিয়েছিল। তবে ১ অক্টোবর থেকে আবারো প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। গতকাল ২৪ ঘণ্টায় গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আটজন রোগী ভর্তি হয়। এ পর্যন্ত উপজেলায় স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৬৬ জন।
সরেজমিনে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেসব ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে, তাদের অধিকাংশই দরিদ্র। বাদিয়াপাড়া গ্রামের কৃষক শাহাবুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছি। ওষুধ হাসপাতাল থেকে দিলেও পরীক্ষা হয় না। ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করানোর টাকা জোগাতে গিয়ে বড়ই কষ্ট হচ্ছে।
হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডেঙ্গু পরীক্ষার কিটের সংকট চলছে। ডেঙ্গু নিশ্চিত হওয়ার জন্য একাধিক পরীক্ষার প্রয়োজন হয়। সব পরীক্ষার ব্যবস্থা হাসপাতালে নেই। এ কারণে রোগীদের বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে পরীক্ষা করিয়ে আনতে হচ্ছে। দরিদ্র রোগীদের এ ব্যয় সংকুলান কঠিন হয়ে পড়েছে। এছাড়া অনেকে বেসরকারি হাসপাতালে বা ক্লিনিকে চিকিৎসা নেয়ার কারণে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যাও জানা যাচ্ছে না। ফলে রোগের বিস্তার বুঝতে অনুমানের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে গাংনী হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. এমকে রেজা বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এডিস মশার বংশবৃদ্ধি হচ্ছে। আগের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর শরীর থেকে রক্ত খাওয়া এডিস মশার মাধ্যমে এ রোগ ছড়িয়ে যাচ্ছে। প্রতিরোধ ব্যবস্থা আরো বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই।
মেহেরপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অলোক কুমার দাশ জানান, মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলায় নতুন করে কোনো ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়নি।
অপরদিকে সিভিল সার্জন ডা. শামীম আরা নাজনীন বলেন