ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে গত শুক্রবার শুরু হয় দুর্গা পূজা। বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে গতকাল শেষ হলো দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এ উৎসবের। পূজা সমাপ্তির আগে দেশের বিভিন্ন স্থানে এদিন সনাতন ধর্মাবলম্বী সিঁদুর খেলা, বিহীত পূজাসহ বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানে মেতে ওঠেন। কোথাও কোথাও আয়োজন করা গ্রামীণ মেলার। চট্টগ্রাম ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—
চট্টগ্রাম: প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে গতকাল পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত পরিণত হয় জনসমুদ্রে। বেলা ১টার পর থেকে নানা বয়সী এ সৈকতে ভিড় করতে শুরু করেন। বেলা ২টার পর শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জন। ঠেলাগাড়ি, রিকশা ভ্যান, ট্রাক, পিকআপ ভ্যানে করে নগরের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিমা নিয়ে বিসর্জন দেয়া হয় বঙ্গোপসাগরে।
মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট চন্দন তালুকদার বলেন, এবার নগরে ২৭০টি মণ্ডপে পূজা হয়েছে। এর মধ্যে পতেঙ্গা সৈকতে ১২০-১৩০টি প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। এর বাইরে ফিরিঙ্গি বাজারের অভয়মিত্র ঘাট, কাট্টলী সৈকত, পাহাড়তলীর বিভিন্ন পুকুর-দীঘি ও কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীতে প্রতিমা বিসর্জন হয়। রাতেও প্রতিমা বিসর্জনের সুবিধার্থে আলোকায়নসহ পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্পল বড়ুয়া জানান, প্রতিমা নিরঞ্জন নির্বিঘ্ন করতে একটি অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে সৈকতে। তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। র্যাবের টহল, নিয়মিত পুলিশ, নারী পুলিশ সদস্য, ট্যুরিস্ট পুলিশসহ সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিমসহ ডুবুরি রাখা হয় সৈকত এলাকায়।