ফরিদপুর ও খুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল ও গত সোমবার রাতে তাদের মৃত্যু হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—
ফরিদপুর: ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মঞ্জু রানী (৫৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গত সোমবার রাত ১টার দিকে তিনি মারা যান। মঞ্জু রানী রাজবাড়ীর সদর উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের হরিপদ কুমারের স্ত্রী। এ নিয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলতি বছর এ পর্যন্ত শিশুসহ ১১ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হলো।
পরিবারের লোকজন জানান, মঞ্জু রানীকে গত সোমবার সকালে জ্বরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পর থেকে তার অবস্থা অপরিবর্তিত ছিল। রাতেই তিনি মারা যান।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. কামদা প্রসাদ সাহা জানান, গত সোমবার সকালে মঞ্জু রানীকে এ হাসপাতালে এনে ভর্তি করে তার পরিবারের লোকজন। রাত ১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ফরিদপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে জেলার হাসপাতালগুলোয় ৭৭ জন ডেঙ্গু রোগী আছেন। গত ২০ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন ২ হাজার ৪৩৪ জন। আর ঢাকায় পাঠানো হয়েছে ৪৭৪ জনকে।
খুলনা: ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসাধীন অষ্টমী সেন (৪৫) নামে এক নারী মারা গেছেন। গতকাল দুপুরে তার মৃত্যু হয়। অষ্টমী সেন যশোরের কেশবপুর উপজেলার আলতাপোল গ্রামের বাসিন্দা চন্দন সেনের স্ত্রী।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক ফিজিশিয়ান (আরপি) ডা. শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, যশোর থেকে এনে গতকাল ১২টার দিকে এ হাসপাতালে অষ্টমী সেনকে ভর্তি করা হয়। আর বেলা দেড়টায় তিনি মারা যান। এ নিয়ে চলতি বছর খুলনায় ডেঙ্গুতে ১৪ জনের মৃত্যু হলো।