ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথোপকথনের বিষয়ে সাক্ষ্য দিতে দেশটির কূটনীতিকদের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধিকে ডাকতে যাচ্ছে তদন্তকারী কমিটি। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসন-বিষয়ক তদন্তের নতুন মোড় হতে পারে। খবর রয়টার্স।
ডাক পাওয়া কূটনীতিকের তালিকায় রয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত গর্ডন সনল্যান্ড। তিনি মূলত হান্টার বাইডেনের বিষয়ে তদন্ত শুরুর জন্য ইউক্রেনে কাজ করেছিলেন। এছাড়া ইউক্রেনে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মাশা ইভানোভিচকেও সাক্ষ্য দিতে বলা হয়েছে।
গর্ডন সনল্যান্ড প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিষেক কমিটিতে ১০ লাখ ডলার দান করেছিলেন। মার্কিন কংগ্রেসের পররাষ্ট্র, ইন্টেলিজেন্স ও ওভারসাইট কমিটি তাকে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের জন্য ডেকেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুলাই প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন ট্রাম্প। এ সময় আগামী নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টিতে প্রেসিডেন্ট মনোনয়নপ্রত্যাশী জো বাইডেনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য তার ছেলে হান্টার বাইডেনের অতীত ব্যবসার ব্যাপারে তদন্তে জেলেনস্কিকে চাপ দেন ট্রাম্প। বিনিময়ে ইউক্রেনের জন্য বরাদ্দ প্রায় ৪০ কোটি ডলারের অর্থসহায়তা তহবিল অনুমোদন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এ কথোপকথনের তথ্য ফাঁস করেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) অজ্ঞাতনামা এক কর্মকর্তা।
ধারণা করা হচ্ছে, কমিটির সদস্যরা গর্ডন সনল্যান্ডকে প্রশ্ন করবেন, কেন তিনি ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় যুক্ত হলেন, কেননা দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য নয়।
সিয়াটলভিত্তিক হোটেল মালিক সনল্যান্ডকে মে মাসে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেন। জুনে মার্কিন সিনেট তার নিয়োগ অনুমোদন করে এবং জুলাইয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন।
গত সপ্তাহে কমিটির প্রধানদের প্রকাশ করা বার্তা থেকে জানা যাচ্ছে, সনল্যান্ড ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে খুব ভালোভাবেই যুক্ত ছিলেন। ওই সময় জেলেনস্কি ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করছিলেন।
সনল্যান্ডের হাজির হওয়া চলমান তদন্তে নতুন মোড়, কেননা তিনি ট্রাম্পের ডোনার ও রাজনৈতিকভাবে নিযুক্ত ব্যক্তি।
সিআইএর একজন সদস্যের ফাঁস করা এক নথির মধ্য দিয়ে ট্রাম্পের ইউক্রেন কেলেঙ্কারি সামনে আসে। এদিকে গত রোববার আরেক ‘হুইসেলব্লোয়ারের’ আবির্ভাব হয়েছে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ নিয়ে আরেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা সামনে আসতে যাচ্ছেন। ট্রাম্প চলমান তদন্ত নিয়ে বেজায় চটে রয়েছেন।