চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে লিভারপুলের কাছে অপ্রত্যাশিতভাবে হেরে গেলেও গত মৌসুমে লা লিগা ও স্প্যানিশ সুপার কাপ শিরোপা ঘরে তুলেছে বার্সেলোনা। এ সাফল্যের পুরস্কার হিসেবে ক্লাবটি তার খেলোয়াড়দের ৯ কোটি ২০ লাখ ইউরো (প্রায় ৮৫৬ কোটি টাকা) বোনাস দিয়েছে। অথচ অনেক ক্লাবের গোটা মৌসুমের বাজেটও এতটা থাকে না!
এ বোনাস ২০১৮ সালের তুলনায় ২০ লাখ ইউরো কম। যদিও ২০১৫ সালে ‘ট্রেবল’ জয়ের পর যে বোনাস দেয়া হয়েছিল মেসিদের, এবার দেয়া হয়েছে তার চেয়ে ৩০ লাখ ইউরো বেশি! ২০১৫ সালে খেলোয়াড়দের ৮ কোটি ৯০ লাখ ইউরো বোনাস দিয়েছিল ইউরোপের অন্যতম সেরা ক্লাবটি। আর ২০১৭-১৮ মৌসুমে তাদের বোনাস ছিল ৮ কোটি ৪০ লাখ ইউরো।
ক্লাবের বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত মৌসুমে খেলোয়াড় ও কোচদের বেতন বাবদ ৫২ কোটি ৫০ লাখ ইউরো (প্রায় ৪ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা) খরচ হয়েছে কাতালান জায়ান্টদের, এর মধ্যে ৪১ কোটি ৭০ লাখ ইউরো (প্রায় ৩ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা) খরচ হয় শুধু খেলোয়াড়দের পেছনেই।
বার্সেলোনা ক্লাবের অন্যতম বড় সমস্যার নাম এখন খেলোয়াড়দের বেতন। বার্ষিক যে পরিমাণ রাজস্ব সংগ্রহ করে ক্লাবটি, তার বৃহদংশই খরচ হয় খেলোয়াড়দের বেতনের পেছনে। যেমন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসিকে ২০১৯-২০ মৌসুমে ৭ কোটি ৭ লাখ ৫৮ হাজার ইউরো (প্রায় ৬৫৮ কোটি টাকা) বেতন দেবে কাতালানরা! এছাড়া আতোয়াঁ গ্রিজম্যান, লুইস সুয়ারেজদের উচ্চ বেতন দিতে হয়। এ খাতে খরচ কীভাবে কমানো যায়, তা নিয়ে কাজ করছে ক্লাবটি। এ নিয়ে গত রোববারের বোর্ডসভায় আলোচনাও হয়েছে।
গত মৌসুমে বেতন ও ঋণ পরিশোধ করতে কাতালান ক্লাবটির খরচ হয়েছে ৬৭ কোটি ১০ লাখ ইউরো। কিন্তু চলতি মৌসুমে এ খাতে খরচ কমানো হবে। বেতন দেয়া হবে ৩ শতাংশ কম এবং ঋণ ৭ শতাংশ কম পরিশোধ করা হবে। ফলে এ দুই খাতে চলতি মৌসুমে মোট ব্যয় হবে ৬৪ কোটি ২০ লাখ ইউরো।
বেতন কমাতে এবং নতুন খেলোয়াড় কিনতে বার্সাকে বর্তমান স্কোয়াডের কিছু খেলোয়াড় বিক্রি করতে হবে। কাদের ন্যু ক্যাম্প থেকে বিদায় করা হবে সেই তালিকাও প্রায় চূড়ান্ত। ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার ইভান রাকিতিচ, ফরাসি স্ট্রাইকার ওসমান ডেম্বেলে ও ফরাসি ডিফেন্ডার স্যামুয়েল উমতিতির বিদায় প্রায় নিশ্চিত। তাদের জানুয়ারির শীতকালীন দলবদলেই বিক্রি করা হতে পারে