জ্বালানি তেল ও গ্যাস উত্তোলন এবং রফতানিকারক ১৪ দেশের সংস্থা ওপেক ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে একুয়েডর। আগামী বছরের শুরুতেই দেশটি ওপেকের সদস্যপদ থেকে সরে দাঁড়াবে বলে ঘোষণা দিয়েছে দেশটির জ্বালানি মন্ত্রণালয়। খবর রয়টার্স ও অয়েলপ্রাইস ডটকম।
একুয়েডরের
জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের উত্তোলন
বাড়িয়ে বাড়তি আয়ের জন্য এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে দেশটি ওপেক নির্ধারিত
নির্দিষ্ট কোটায় জ্বালানি তেল উত্তোলনের শর্ত কয়েকবার ভঙ্গ করেছে।
বিবৃতিতে বলা
হয়, সরকারের
এ সিদ্ধান্ত এ খাতে জনগণের ব্যয় কমাবে এবং নতুন আয়ের পথ দেখাবে। একুয়েডর ওপেকের
ক্ষুদ্র জ্বালানি তেল সরবরাহকারীদের মধ্যে অন্যতম। দেশটি বর্তমানে দৈনিক গড়ে ৫ লাখ
৪৫ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন করে।
দেশটির
জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওপেক ছাড়ার পরও একুয়েডর আন্তর্জাতিক
জ্বালানি তেলের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সবসময় চেষ্টা চালিয়ে যাবে।
এর আগে
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের অব্যাবহত দরপতন ঠেকাতে ওপেক, রাশিয়া
এবং অন্যান্য তেল উত্তোলনকারী দেশগুলো দৈনিক গড়ে ১২ লাখ টন জ্বালানি তেল উত্তোলন
কমিয়ে আনা সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই করে। গত জুলাইয়ে এ চুক্তিটি নবায়ন করে ২০২০
সালের মার্চ পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়।
তবে চলতি বছরের
ফেব্রুয়ারিতে একুয়েডর ওপেকের কাছে বেঁধে দেয়া মাত্রার তুলনায় বেশি জ্বালানি তেল
উত্তোলনের অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু এ
প্রস্তাবে সংস্থাটি কেমন সাড়া দিয়েছে সে বিষয়ে দেশটির সরকার এখন অবধি কোনো মন্তব্য
করেনি।
ওপেকের সাবেক
সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, একুয়েডরের ওপেক ছাড়ার সিদ্ধান্ত কেবল একটি দুর্বল ঢেউ তোলার চেয়ে বেশি
কিছু না।
একুয়েডরের
সাবেক জ্বালানিমন্ত্রী রেনে আরতিজ বলেন,
দেশটি ওপেক ছাড়ার সিদ্ধান্ত সংস্থাটির ওপর খুব
একটা প্রভাব ফেলবে না।
একুয়েডর ১৯৭৩
সালে ওপেকে যোগ দেয়। এরপর ১৯৯২ সালে সদস্যপদ প্রত্যাহার করে ওপেক থেকে বের হয়ে
যায়। ২০০৭ সালে পুনরায় যোগদান করে।
তবে সম্প্রতি
সংস্থাটির কয়েকটি ক্ষুদ্র সদস্য আর্থিক সংকটের কারণ দেখিয়ে সদস্যপদ বাতিল করেছে।
ইন্দোনেশিয়া জ্বালানি তেল রফতানি বাড়াতে ২০১৬ সাল থেকে সদস্যপদ স্থগিত রেখেছে।
এছাড়া গত বছরের শেষের দিকে প্রাকৃতিক গ্যাসের উত্তোলন বাড়াতে কাতার ওপেক ছাড়ার
ঘোষণা দিয়েছে।