অবৈধ অর্থ রাখতে ধনী দেশের আশকারা, ক্যাসিনো ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা

ড. আর এম দেবনাথ

জাতিসংঘের ৭৪তম অধিবেশনে যোগদানের সময় এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক বিষয়ের মধ্যে একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বিষয়টি কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক। তিনি বলেছেন, জাতিসংঘের মহাসচিবের দেয়া ভোজে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হাতে একটা চিঠি দিয়েছেন। চিঠির বিষয়বস্তু হচ্ছে, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘মানবাধিকারের প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র সবসময় খুবই সোচ্চার। তাহলে কী করে এ দেশে জাতির পিতা, নারী ও শিশুদের হত্যাকারী থাকতে পারে?’ তিনি আরো বলেন, একজন খুনি কানাডায় রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর খুনিরা পৃথিবীর নানা প্রান্তে অবস্থান করছে। সরকার তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করতে চায়। বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের খুনি, অপরাধী, চোর-ডাকাত, লুটেরা ও স্বৈরশাসকদের অনেকে উন্নত দেশে আরাম-আয়েসে জীবনযাপন করছে। বলা বাহুল্য, এটা সভ্য সমাজবিরোধী কাজ, বিশ্বের দেশে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিঘ্ন সৃষ্টিকারী কাজ। অথচ এটি উন্নত সভ্য বলে পরিচিত দেশগুলো হরেদরে করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান এর একটা বড় প্রমাণ। আমি এ বিষয়ে আলোচনা না বাড়িয়ে এ প্রশ্নের লেজে লেজে যে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন রয়েছে, তার ওপর আলোচনা করতে চাই। আগের প্রশ্নটি ছিল কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক। আমার প্রশ্নটি অর্থনৈতিক। যে প্রশ্নটি উত্থাপন করব তা আমাকে শুধু নয়, সারা বিশ্বের সব মানুষই অনেক দিন ধরে ভাবছে। পৃথিবীর দেশে দেশে কঠিনমানি লন্ডারিং প্রিভেনশন আইন থাকা সত্ত্বেও কী করে চোর-ডাকাত, লুটেরা, অবৈধ সম্পদধারী, একনায়ক ও স্বৈরশাসক এবং প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীদের একটা অংশের সভ্য দেশগুলোয় ধন-সম্পদ রয়েছে, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলছে, ব্যবসা করছে, জমিজমা কিনছে? যেসব উন্নত-সভ্য দেশে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে সম্পদ পাচার হচ্ছে, সেসব দেশও আতঙ্কে আছে: অস্ট্রেলিয়া, হংকং, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড। ওইদিকে পশ্চিমে আছে ইউরোপীয় দেশগুলো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা ইত্যাদি দেশ। আছে ক্যামেরন আইল্যান্ড, পানামা, বাহামা ইত্যাদি দ্বীপরাষ্ট্র। দুদিন পরপর ওইসব দেশে কীভাবে, কারা, কত টাকা সম্পদ পাচার করছে, তার ওপর খবর প্রকাশিত হচ্ছে। অসহায় মানুষ এসব খবর পড়ছে আর ক্ষোভ প্রকাশ করছে। প্রশ্ন করছে: ওই সব দেশে কিমানি লন্ডারিং প্রিভেনশন আইন নেই? এ আইনের অধীনে সৃষ্ট নানা সংগঠন-প্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা তাহলে কী করছে? দুদিন পরপর আমাদের দেশেফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্স নামের একটি সংস্থা আমাদের খাতাপত্র দেখতে আসে। ডর-ভয় দেখায়। আর আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকমানি লন্ডারিং প্রিভেনশন অ্যাক্টের অধীনে কত পদক্ষেপ প্রতিদিন নিচ্ছে। সম্ভবত বর্তমানে ১০ লাখ টাকার বেশি জমা এবং উত্তোলন করলেই ব্যাংক প্রশ্ন করতে পারে। জমা দিতে গেলে ঠিকানা, টেলিফোন নম্বর দিতে হয়। অনলাইন সেবা নিতে গেলে এনআইডি দেখাতে হয়। আয়ের উৎস দিতে হয়। হিসাব খোলার ফরম নয়তো যেন একেকটা পাঠ্যবই। একজন নিরীহ গ্রামবাসীকেও হিসাব খোলার সময় ঘোষণা দিতে হয় যে, তিনি মার্কিন নাগরিক নন, নন-গ্রিনকার্ড হোল্ডার। আয়করের তথ্য দিতে হয়। কত কড়াকড়ি দেশে। এসব কড়াকড়ি কি সভ্য দেশে নেই? তাদের দেশে কি হিসাব খোলার সময় আয়ের উৎস, লেনদেনের প্রোফাইল (টিপি), হিসাব পরিচায়কের ব্যবস্থা নেই? যতই দিন যাচ্ছে, এসব প্রশ্ন ততই বড় হয়ে উঠছে। তাহলে কি দুনিয়ার খুনি, লুটেরা, অবৈধ সম্পদধারী, স্বৈরশাসক এবং একশ্রেণীর ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতা ধনসম্পদ নিয়ে আলোচ্য দেশগুলোয় চলে যাক, তা-ই ওই সব দেশ চায়? তা না হলে তারা এদের নাগরিকত্ব দিচ্ছে কেন, থাকতে দিচ্ছে কেন? তা না হলে কয়েক দিন ধরে আমাদের খবরের কাগজে অর্থ পাচারের যেসব খবর ছাপা হচ্ছে, তার অর্থ কী? তারমাজেজা কী?

কয়েক দিন ধরেক্যাসিনো ব্যবসার ওপর অনেক খবর প্রকাশিত হচ্ছে। কারা কারা এ ব্যবসা করছে, কোথায় কোথায় তা হচ্ছে, কত টাকা এতে অর্জিত হচ্ছে এবং ওই সব টাকার গন্তব্যস্থল বিদেশে কোথায়এ সম্পর্কিত রোমহর্ষক খবর প্রতিদিন ছাপা হচ্ছে।

অবিশ্বাস্য সব খবর। সাধারণ মানুষ ভাবতেই পারছে না কী করে এত বড় বেআইনি একটা ব্যবসা দিনের পর দিন প্রকাশ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম প্রভৃতি শহরে হয়ে আসছে। আর এসব ব্যবসায় জড়িতদের ধন-সম্পদের হিসাব শুনলে মাথা খারাপ হয়ে যায়। একটি দৈনিকের ২ অক্টোবর প্রকাশিত খবরের শিরোনাম: ‘বছরে পাচার ৩২৪ কোটি টাকা। খবরটিতে বলা হয়েছে, অনলাইন ক্যাসিনোর আয় থেকে প্রায় ৩২৪ কোটি টাকা পাচার করেছেন সেলিম প্রধান নামের এক যুবক। তার ব্যবসায়িক অফিস থেকে লাখ লাখ টাকা, চেকবই ইত্যাদিও জব্দ করা হয়েছে। পাচারের পর টাকার গন্তব্য কোথায় হয়, তার ওপর একটি খবর ছাপা হয়েছে আরেকটি দৈনিকে। এ খবরটির শিরোনাম: ‘দেশের টাকায় লন্ডনে চার কোম্পানি নাজমুলের। এ খবরটিতে বলা হয়েছে, দেশের টাকায় লন্ডনে চারটি কোম্পানি খুলে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এসব প্রতিষ্ঠানে তার শতকোটি টাকা বিনিয়োগ রয়েছে। খবরটিতে বলা হয়েছে, এ প্রাক্তন ছাত্রনেতাবিনিয়োগ ভিসায় বিলেতে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। বলা বাহুল্য, বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবেডলার নিয়ে বিদেশে বিনিয়োগ করা নিষিদ্ধ। নিতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি লাগবে। তা দেয়া হয় এখন খুবই সীমিত আকারে, তাও সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীর রফতানির বিপরীতে। অতএব প্রাক্তন ছাত্রনেতার বিদেশে বিনিয়োগের জন্য ডলার পাওয়ার কথা নয়। উপরে উল্লিখিত দুটো খবর অতি সাম্প্রতিককালের। কিন্তু আমরা জানি, কয়েক বছর ধরেই অর্থ পাচার সম্পর্কে নানা তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে। টাকা পাচারে সাহায্য-সহযোগিতা করা, নাগরিকত্ব পাইয়ে দেয়া ইত্যাদির ওপর রীতিমতো খোলামেলা পরিবেশে ঢাকায় কাজ করে যাচ্ছে নানা প্রতিষ্ঠান। যেমন দৈনিক বণিক বার্তার ২০১৬ সালের মে মাসের একটি খবর। এতে ঢাকারআতাতুর্ক টাওয়ারে অনুষ্ঠিত একটি সেমিনারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেমিনারটি মালয়েশিয়ায়সেকেন্ড হোম’-সংক্রান্ত। কীভাবে সেকেন্ড হোম ক্রয় করা যায়, কত টাকা বিনিয়োগ লাগে, বয়স কত হতে হবে, ব্যাংকে কত টাকা রাখতে হবে ইত্যাদি বাংলাদেশী আবেদনকারীদের সেমিনারে অবহিত করা হয়। একই বছরের একই মাসে আরেকটি খবর প্রকাশিত হয়েছে ভিন্ন একটি দৈনিকে। রীতিমতো বিজ্ঞাপন। এটাও মালয়েশিয়ায় নাগরিকত্বের জন্য। বিকাশ, টেলিফোন নম্বর, কোম্পানির নাম বিজ্ঞাপনে দিয়ে বিজ্ঞাপনদাতা যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ রেখেছেন। এছাড়া বিভিন্ন দেশে বিনিয়োগের জন্য নানাভাবে সভা-সেমিনার করে বাংলাদেশীদের উদ্বুদ্ধ করা হয় নিয়মিতভাবে। মোবাইলেমেসেজ দেয়া হয়। ২০১৫ সালের একটি রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ট্যাক্স জাস্টিস নেটওয়ার্ক বলছে সুইজারল্যান্ড, হংকং, যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুর হচ্ছে অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদ রাখার উত্তম স্থল। যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশীরা টাকা রেখে যে সুদ পায়, তার ওপর কোনো কর দিতে হয় না। ওইসিডির দেশগুলোর মধ্যে আর্থিক তথ্য-উপাত্ত বিনিময়ের একটি চুক্তি আছে। কিন্তু ওই চুক্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সই করেনি। পানামা, ভার্জিন আইল্যান্ডের মতো দেশে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খোলা যায়।পানামা পেপারস’-এ এ-সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য আছে। ২০১৭ সালের একটি খবরে দেখা যাচ্ছে, কানাডার ব্যাংকে টাকা রাখলে উৎস জিজ্ঞাসা করা হয় না। গ্রাহকের তথ্য রাষ্ট্রকে দেয়া হয় না। সেখানে ব্যবসা করা সহজ। তাই বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের অবৈধ টাকার শহরের নাম দেয়া হয়েছেবেগমপাড়া। মাত্র ৮ লাখ ডলারে সেখানে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। সুইস ব্যাংকের কথা সবারই জানা। আর কত খবর দেব? বস্তুত প্রায় প্রতিদিন এসব খবর ছাপা হচ্ছে। কার কার সিঙ্গাপুরে দালান-কোঠা আছে, ব্যবসা আছে, কার কার ভিয়েতনামে গার্মেন্টস কারখানা আছে, কার কার ব্যবসা সহায়-সম্পত্তি আমেরিকা-কানাডায় আছে তার খবর মুখে মুখে। এমনকি কাগজেও এসব খবর ছাপা হচ্ছে। এভাবে সম্পদশালী লোকরাই আজকাল সমাজে সমাদৃত। একসময় জ্ঞানীগুণী ও ত্যাগী লোকদের কদর ছিল সমাজে। আজ আর সেটা নেই। আমরামানুষের দেশ নই, আমরা হচ্ছিইমার্জিং মার্কেট। এখন বাজারে কদর হচ্ছে বিদেশে যাদের বাড়িঘর, ব্যবসা আছে। কদর যাদের ছেলেমেয়ে বিদেশে থাকে। এতে বোধহয় সরকার একটা ব্রেক কষতে চায়। তাই সম্প্রতি ব্যাংককে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, বিদেশে অবস্থানকারী ব্যবসায়ীদের ঋণ দিতে যেন সাবধানতা অবলম্বন করা হয়। এ নির্দেশ মানলে কজন বড় ব্যবসায়ী বা শিল্পপতি ঋণ পাবেনএ প্রশ্ন সবার।

উল্লিখিত আলোচনা থেকে কয়েকটি বিষয় সামনে চলে আসে। প্রথমত, অবৈধভাবে টাকা হস্তগত করা। দ্বিতীয়ত, ওই টাকা দেশে রাখার ব্যবস্থা খোঁজা, তৃতীয়ত, বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা। চতুর্থত, সেই টাকা নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করা। সর্বোপরি অবৈধ টাকা ভোগ করা। সবাই জানি, দেশে অবৈধভাবে টাকা উপায়ের ব্যবস্থা আছে। একথা স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী এবং অন্য মন্ত্রীরাও বলছেন। প্রধানমন্ত্রীর কথাযে পরিমাণ উন্নয়ন প্রকল্প আমরা নিচ্ছি, তার প্রতিটি টাকা যদি সঠিকভাবে ব্যয় হতো, ব্যবহার হতো, আজকে বাংলাদেশ আরো অনেক বেশি উন্নত হতে পারত। এদিকে আরেকজন প্রভাবশালী মন্ত্রী স্বীকার করেছেন, বড় বড় প্রকল্পে অর্থের অপব্যবহার হয়। তিনি বলেছেন, এসব মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায়ও হচ্ছে। ধীরে ধীরে এ সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে বলে তিনি মনে করেন। এসব বক্তব্য থেকে পরিষ্কার, দেশে অবৈধভাবে অর্থ-সম্পদ করা সম্ভব এবং তা হচ্ছে। প্রতিদিন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বালিশ, পর্দার কাপড় ক্রয়ের ওপর যেসব খবর ছাপা হয়েছে, তা থেকেও বোঝা যায় প্রকিউরমেন্টের মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে টাকা রোজগার করছে একশ্রেণীর লোক। এই যে ক্যাসিনো ব্যবসা, যারা এসব পরিচালনা করছে, তাদের নাম-ধাম পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু এতে খেলতে যাচ্ছে কারা? শত শত লোক নিশ্চয়ই। তাছাড়া এত অর্থ-সম্পত্তি ক্যাসিনোর মালিকরা কীভাবে করে? দ্বিতীয় প্রশ্ন: এসব অবৈধ টাকা দেশে রাখার ব্যবস্থা কী? দেশে কিছু টাকা জমি-বাড়ি, ফ্যাক্টরিতে লুকানো সম্ভব। ব্যাংকে লুকানো সম্ভব নয়, সঞ্চয়পত্রে সম্ভব নয়। এসবে রাখলে হিসাব দিতে হবে। অতএব করণীয় কী? করণীয় হচ্ছে সম্পদ নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করা। এতে সহায়তা করার জন্য রয়েছে বিদেশের ও দেশের ব্যাংক। ওভার ইনভয়েসিং ও আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে তারা টাকা পাচারে সাহায্য করে। এরপর আছে হুন্ডি ব্যবসা। সবচেয়ে বড় কথা, ধনী দেশগুলো অবৈধ টাকা রাখতে সাহায্য-সহযোগিতা করে। তারা বিনিয়োগের নামে অবৈধ টাকা রাখার ব্যবস্থা করে দেয়। একই কারণে খুনি, গুণ্ডা, প্রভাবশালী লোকজন এবং স্বৈরশাসকদের তারা আশ্রয় দেয়। কারণ তাদের সম্পদ আছে। সবচেয়ে বড় কথা অবৈধ টাকা ভোগের ব্যবস্থা আছে। এ ভোগের ব্যবস্থা দেশে যেমন আছে, বিদেশেও তেমন আছে। এসব কালো টাকার ভোগবাদী মালিকদের দৌরাত্ম্য কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে, তার একটা পরিচয় প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন (১.১০.১৯)। তিনি বলেছেন, তার (ওই সব ব্যক্তির বডিগার্ড থাকবে, তার জন্য জায়গা নির্দিষ্ট করে রাখতে হবে; তার গাড়ি ঢুকবে বলে সব গাড়ি বন্ধ হয়ে যাবে, তার স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স, যাদের কোনো লাইসেন্স নেই, কোনো নিয়ম নেই, কিছু নেই, মনে হয় কোনো দেশের রাজা এসেছে... পরিষ্কার বোঝা যায়, প্রধানমন্ত্রী ক্ষোভে ও দুঃখে এসব কথা বলছেন। শুধু বলছেন না, তিনি দুর্নীতিবিরোধী শক্ত অবস্থান নিয়েছেন। এখন দরকার দুটো জিনিস

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন