কাগজের নোটবুকের বিকল্প হতে পারে ওয়াননোট

মাইক্রোসফটের একটি জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশন ওয়াননোট। এটি মূলত শিক্ষক শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে। ডিজিটাল নোটবুক ব্যবহারে যারা অভ্যস্ত, তাদের কাছে এরই মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয়তা পেয়েছে ক্রসপ্লাটফর্ম অ্যাপ্লিকেশনটি। অর্থাৎ এটি ওয়েবের পাশাপাশি অ্যান্ড্রয়েড, আইওএসসহ সব প্লাটফর্ম ডিভাইসে ব্যবহার করা যায়।

শিক্ষার্থীদের জন্য আক্ষরিক অর্থেই কাগজের নোটের বিকল্প হতে পারে ওয়াননোট। সম্পূর্ণ বিনা মূল্যের অ্যাপ্লিকেশনটি মাইক্রোসফট অফিসের সঙ্গেই পিসিতে ইনস্টল হয়ে যাওয়ার কথা। তা না হলে, খুব সহজেই ওয়েবসাইট থেকে নামিয়ে নেয়া যায়। একটি মাইক্রোসফট অ্যাকাউন্ট দিয়ে লগইন করলে ওয়ানড্রাইভে গিগাবাইট ক্লাউড স্টোরেজ ফ্রিতে পাওয়া যায়। ওয়াননোটও স্টোরেজই ব্যবহার করে। আরো জায়গার দরকার হলে সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে ইচ্ছামতো বাড়িয়ে নেয়া যায়।

ওয়াননোটের বিশেষত্ব হলো, এটি এমন একটি নোট অ্যাপ্লিকেশন, যেখানে একটি হোয়াইট বোর্ড বা ছবির ওপর ইচ্ছামতো লেখা যায়। এমনকি ব্যবহূত ডিভাইসটি স্টাইলাস বা পেন সমর্থন করলে হাতেও লেখা ছবি আঁকা যায়। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো হাতের লেখাও টেক্সট হিসেবে শনাক্ত করতে পারে ওয়াননোট। ফলে কোনো নোট খুঁজতে কিওয়ার্ড লিখে সার্চ দিলে হাতে লেখা শব্দটিও খুঁজে দিতে পারে অ্যাপ্লিকেশন। পাশাপাশি অপটিক্যাল ক্যারেক্টার রিকগনিশন (ওসিআর) ফিচারও রয়েছে। ওয়াননোটের কিছু উল্লেখযোগ্য ফিচার


বিষয়ভিত্তিক নোটবুক

ওয়াননোটে বিষয়ভিত্তিক আলাদা নোটবুক তৈরি করা যায়। যেমন গণিত, রসায়ন, পদার্থবিদ্যা বা জীববিদ্যার জন্য আলাদা নোটবুক তৈরি করে আবার প্রতিটি বিষয়ের অধ্যায় অনুযায়ী পাতা খোলার সুবিধাও রয়েছে। ফলে প্রতিটি বিষয়ের জন্য আলাদা কাগজের নোটবুক রাখার প্রয়োজন হবে না।

 

গ্রুপ ওয়ার্ক

যেকোনো স্থানে এবং যেকোনো ডিভাইস থেকে একাধিক সহপাঠী একটি নোট নিয়ে কাজ করতে পারেন। রিয়েলটাইমে কাজ করার সময় কোনো একজন অফলাইনে গেলেও ওয়াননোট পরবর্তী সময়ে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিংক করে নিতে পারে। তাছাড়া শুধু -মেইল জানা থাকলে যেকোনো নোট সহপাঠী বা বন্ধুর সঙ্গে শেয়ার করা যায় খুব সহজে।

 

ইচ্ছামতো হাতে লেখা

ডিভাইস যদি স্টাইলাস বা ডিজিটাল পেন সমর্থন করে, তাহলে ওয়াননোটের একটি পেজের যেকোনো স্থানে যা খুশি আঁকাবুকি করা যায়। লেখা থেকে শুরু করে স্কেচ সবকিছুই হাতে করা সম্ভব। ওয়াননোট হাতের লেখাও সাধারণ টেক্সট হিসেবে শনাক্ত করতে পারে। ফলে পরবর্তী সময়ে কিওয়ার্ড দিয়ে খুঁজলে পাওয়া যায়। এছাড়া মোবাইল ডিভাইস হলে ওয়াননোট থেকেই পিকচার অপশনে গিয়ে ক্যামেরা থেকে যেকোনো ছবি তুলে নোটে যুক্ত করার সুবিধা রয়েছে।

 

অডিও রেকর্ড টু ডু লিস্ট

ক্লাস চলাকালীন লেকচারের কোনো অংশ রেকর্ড করতে চাইলে ওয়াননোট থেকেই রেকর্ড করা যায়। ওয়াননোট সেই অডিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংশ্লিষ্ট নোটের সঙ্গে যুক্ত করে দেয়। এছাড়া একই পেজের টু ডু লিস্টও তৈরি করা যায়। এসব কনটেন্ট পেজে যেকোনো স্থানে ইচ্ছামতো লেখা যায়।

 

যেকোনো অংশে লেখা

খাতার মতোই একটি পাতার যেকোনো অংশে যা খুশি লেখা যায়। প্রয়োজনে প্রতিটি লেখার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছবিও রাখা যায়। লেখার পাশে মন্তব্য বা ফুটনোট রাখারও সুযোগ রয়েছে।

 

ক্লিপ ওয়েব

যেকোনো ব্রাউজারে ওয়াননোটের ওয়েব ক্লিপার অ্যাডঅনটি যুক্ত করে নিলে ওয়েবসাইটের প্রয়োজনীয় নির্দিষ্ট অংশের ক্লিপ বা স্ন্যাপ নেয়া যায়। এরপর সেটি সরাসরি ওয়াননোটে সংযোজন করে নিতে পারেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন