আবরার হত্যায় ১০ জন রিমান্ডে

বণিক বার্তা অনলাইন

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে (২১) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ১০ জনের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় চকবাজার থানায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান রাসেল, সহ-সভাপতি মুস্তাকিম ফুয়াদ, সহ-সম্পাদক আশিকুল ইসলাম বিটু, উপ-দফতর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ, উপ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, উপ-আইন সম্পাদক অমিত সাহা, ক্রীড়া সম্পাদক সেফায়েতুল ইসলাম জিওন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, গ্রন্থনা ও গবেষণা সম্পাদক ইশতিয়াক মুন্না এবং খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির।

এদিকে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডে চকবাজার থানায় দায়ের করা মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭ তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী আবরারের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে ওই রাতেই হলটির ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে বেদম প্রহার করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে সোমবার সন্ধ্যার পর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহত আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ্। কুষ্টিয়ার ছেলে আবরারের বাবা বরকতুল্লাহ বর্তমানে একটি এনজিও সংস্থায় কর্মরত। মা রোকেয়া খাতুন একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলের শিক্ষকতা করেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে আবরার ফাহাদ বড়।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন