আবরার হত্যায় ৮ দফা

দাবি না মানলে ভর্তি পরীক্ষাসহ বুয়েটের সকল কার্যক্রম স্থগিতের হুঁশিয়ারি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের হত্যাণ্ডের বিচারসহ ৮ দফা দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির সাধারণ সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বেঁধে দেয়া সময়ে দাবিগুলো না মানলে বুয়েটের ক্লাস, পরীক্ষা এবং ভর্তি পরীক্ষাও হতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকালে বুয়েট ক্যাম্পাসের ক্যাফেটেরিয়ার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থী। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। তারা আবরার হত্যার সুষ্ঠু বিচারসহ বুয়েট থেকে ছাত্র রাজনীতি ও র‌্যাগিং নিষিদ্ধসহ ৮ দফা দাবি জানান। তাদের দাবির সঙ্গে সহমত প্রকাশ করে শিক্ষক সমিতি এবং বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হল- 

১. খুনীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সিসিটিভি ফুটেজ ও জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে শনাক্তকৃত খুনীদের প্রত্যেকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

২. ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যাল প্রশাসনকে নিশ্চিতবাবে শনাক্তকৃত খুনীদের সকলের ছাত্রত্ব আজীবন বহিষ্কার নিশ্চিত করতে হবে।

৩. দায়েরকৃত মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালের অধীনে স্বল্পসময়ে নিষ্পত্তি করতে হবে। বুয়েট প্রশাসনকে সক্রিয় থেকে সমস্ত প্রক্রিয়া নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং নিয়মিত ছাত্রদের আপডেট জানাতে হবে।

৪. বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কেন (ঘটনার) ৩০ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হননি- তা তাকে সশরীরে ক্যাম্পাসে এসে আজ বিকাল ৫টার মধ্যে জবাবদিহি করতে হবে। একই সাথে ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের (ডিএসডব্লিউ) পরিচালক স্যার কেন ঘটনাস্থল থেকে পলায়ন করেছেন তা ওনাকে আজ বিকাল ৫টার মধ্যে সকলের সামনে জবাবদিহি করতে হবে। (এরই মধ্যে তিনি জবাবদিহি করেছেন বলেও জানানো হয়।)

৫. আবাসিক হলগুলোতে র‌্যাগের নামে এবং ভিন্ন মতাবলম্বীদের উপর সকল প্রকাশ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বন্ধ করতে হবে এবং এই ধরনের ঘটনায় জড়িত সকলের ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে। একই সাথে আহসানউল্লাহ হল এবং সোহরাওয়ার্দী হলের পূর্বের ঘটনাগুলোতে জড়িত সকলের ছাত্রত্ব বাতিল ১১ অক্টোবর, ২০১৯ তারিখ বিকাল ৫টার মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে।

৬. রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে আবাসিক হল থেকে ছাত্র উৎখাতের ব্যাপারে অজ্ঞ থাকা এবং ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হওয়ায় শেরে বাংলা হলের প্রভোস্টকে ১১ অক্টোবর, ২০১৯ তারিখ বিকাল ৫টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে। 

৭. মামলা চলাকালীন সকল খরচ এবং আবরারের পরিবারের সকল ক্ষতিপূরণ বুয়েট প্রশাসনকে বহন করতে হবে। 

৮. বুয়েটে সাংগঠনিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। রাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানারে দীর্ঘদিন ধরে বুয়েটে হলে হলে ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করে রাখা হয়। জুনিয়র মোস্ট ব্যাচকে সবসময় ভয়ভীতি প্রদর্শনপূর্বক রাজনৈতিক মিছিল-মিটিংয়েং যুক্ত করা হয়। রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে যেকোন সময় যেকোন হল থেকে সাধারণ ছাত্রদের জোরপ্রদর্শনপূর্বক হল থেকে বিতাড়িত করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে রানৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে হলে হলে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। রাজনৈতিক সংগঠনের এহেন কর্মকাণ্ডে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা ক্ষুব্ধ, তাই আগামী ৭ দিনের (১৫ অক্টোবর) মধ্যে বুয়েটে সকল রাজনৈতিক সংগঠন এবং এর কার্যক্রম অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে। 

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন