আবরার হত্যা: টিএসসিতে গায়েবানা জানাজা

ঢাবি প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় আবরারের হত্যাকারীদের বিচারের দাবি জানান জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা।

আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে গায়েবানা জানাজার নামাজ পড়ান ডাকসুর সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক আখতার হোসাইন। আরো উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর।

এসময় নুরুল হক নুর বলেন, আজকে যখন আবরার মারা গেছে, তখন কিছু মানুষ বিবেকের তাড়নায় এখানে জানাজায় অংশ নিয়েছে। এরকম আবরাররা যখন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন দ্বারা নির্যাতিত হয়, এটা আজকে নতুন নয়। এটি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। কিন্তু আমরা দেখি, কোন ঘটনায় ছাত্রসমাজ উত্তপ্ত হয়, ন্যায়বিচারের দাবিতে রাজপথে নেমে আসে, তখন হয়তো কোন ঘটনার ন্যায় বিচার হয়, আবার ছাত্ররা নিশ্চুপ হয়ে গেলে সেই ঘটনা আড়াল হয়ে যায়।   

জানাজা শেষে আবরারের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।  শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মোনাজাত শেষে প্রতীকী কফিন নিয়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বুয়েটের দিকে রওনা হয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭ তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী আবরারের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে ওই রাতেই হলটির ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে বেদম প্রহার করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে সোমবার সন্ধ্যার পর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহত আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ্। কুষ্টিয়ার ছেলে আবরারের বাবা বরকতুল্লাহ বর্তমানে একটি এনজিও সংস্থায় কর্মরত। মা রোকেয়া খাতুন একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলের শিক্ষকতা করেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে আবরার ফাহাদ বড়।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন