অপর্যাপ্ত অবকাঠামো

রেলস্টেশনের সেবার মানে উন্নতি নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

কদমতলী-কিন ব্রিজ মূল সড়ক থেকে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন সড়কে প্রবেশের পরই অভ্যর্থনা জানাবে ময়লার স্তূপ। স্টেশনের করিডরে ঢোকার পর নতুন ভোগান্তি। যাত্রীদের বসার জন্য কিছু চেয়ার রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ধরেই এগুলো ভাঙাচোরা। কাঠামোটাই কেবল আছে, বসার ব্যবস্থা নেই। যাত্রী বিশ্রামাগার বলে একটি কক্ষ রয়েছে স্টেশনে। কিন্তু তালাবদ্ধ থাকে সবসময়। রেলওয়ের নিজস্ব শৌচাগারও ইজারা দেয়া। সেটিও প্রায় ব্যবহার অনুপযোগী।

যশোরে রেলওয়ে স্টেশনের নতুন ভবন উদ্বোধন করা হয় ২০০৫ সালে। স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন চার হাজার যাত্রী যাতায়াত করলেও বসার কক্ষ মাত্র দুটি। সেখানে বসতে পারেন সাকল্যে ২০ জন। কক্ষ দুটিতে শৌচাগার থাকলেও ব্যবহার উপযোগী নয়।

দেশের সবচেয়ে বড় রেলওয়ে স্টেশন ঢাকার কমলাপুরে আছে বিশাল প্লাটফর্ম। ভবনও দৃষ্টিনন্দন। তবে পর্যাপ্ত টয়লেট নেই। প্লাটফর্মে বসার জায়গা থাকলেও সেগুলোর বেশির ভাগই ছিন্নমূল মানুষের দখলে। ট্রেন ধরতে এসে এসব কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদের।

বাংলাদেশ রেলওয়ের তথ্যমতে, সারা দেশে স্টেশন চালু রয়েছে ৪৬৬টি। এর বেশির ভাগেই ন্যূনতম যাত্রী সুবিধা নেই। কোথাও প্লাটফর্ম নেই। কোথাও প্লাটফর্ম থাকলেও ছাউনি নেই। তবে রয়েছে মাদকসেবী ছিনতাইকারীদের উৎপাত। চলে মাদকের কারবারও।

স্টেশনে যাত্রীসেবা বাড়ানোর জন্য যা যা করা দরকার, তার সবই করে যাচ্ছেন বলে জানান রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, দেশের সিংহভাগ রেলওয়ে স্টেশনই রয়েছে উন্মুক্ত অবস্থায়। এটা উন্নত দেশে চোখে পড়বে না। উন্নত দেশের স্টেশনগুলোয় টিকিট কেটে প্রবেশ করতে হয়। আমাদের এখানে সবকিছু চলে উল্টোভাবে। যে যার মতো স্টেশনে প্রবেশ করে। আমাদের রেলওয়ে স্টেশনগুলোর যাত্রীসেবার মানও উন্নত নয়। প্লাটফর্মগুলো নোংরা থাকে। বিল্ডিংগুলো পুরনো হয়ে গেছে। পর্যাপ্ত টয়লেট সুবিধাও আমরা দিতে পারছি না। তবে আমরাও বসে নেই। সেবা বাড়ানোর জন্য যা যা করা দরকার, তার সবই আমরা করে যাচ্ছি।

কমলাপুর স্টেশন: দিন রাতের বড় একটা সময় মানুষে পরিপূর্ণ থাকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন। প্রতিদিন ৮০ হাজারের বেশি মানুষ স্টেশনটি ব্যবহার করে। স্টেশনে ৭০ জনের মতো পরিচ্ছন্নতাকর্মী থাকলেও তাদের কাজ নিয়ে অসন্তোষ আছে রেলওয়ের কর্মকর্তাদের। চলতি বছরের এপ্রিলে কমলাপুরে অনুষ্ঠিত এক অংশীজন সভায় যোগ দিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন  কর্মকর্তারা। কমলাপুরের পর ঢাকার সবচেয়ে ব্যস্ত রেলওয়ে স্টেশন বিমানবন্দর। এর নোংরা

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন