সরকারবিরোধী আন্দোলন-সহিংসতা

ইরাকে আতঙ্কে লক্ষাধিক প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিক

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইরাকে চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভ বর্তমানে সহিংস আকার ধারণ করেছে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের তীব্রতা ক্রমেই বাড়ছে। সংঘর্ষে গতকাল পর্যন্ত ১০৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দেশটিতে হঠাৎ করেই সংঘর্ষ সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কে আছেন দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে অবস্থানরত লক্ষাধিক প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিক।

বাগদাদে স্থাপিত বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তা বণিক বার্তাকে জানান, ইরাকে সরকারবিরোধী সংঘর্ষ চলায় সেখানকার ইন্টারনেট সেবা এখন বেশ দুর্বল। কারফিউ চলাকালে রাজধানী বাগদাদসহ তিনটি প্রদেশের মানুষ ঘর থেকেই বের হতে পারছে না। তবে পর্যন্ত ভয়াবহ সহিংসতার ঘটনায় যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে কোনো বাংলাদেশী শ্রমিক বা প্রবাসী রয়েছেন বলে তথ্য পাওয়া যায়নি।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালে সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর থেকেই ইরাকের শাসনব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠেছে স্থানীয় শিয়া সম্প্রদায়। ইরাকের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আদিল আবদুল মাহদিকে গত বছর ক্ষমতায় এনেছে তারাই। অন্যদিকে বর্তমানে শিয়া নেতারাই বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের সমর্থন দিচ্ছেন সবচেয়ে বেশি। ফলে বিক্ষোভ সামলানো এখন মাহদির জন্য বড় একটি পরীক্ষা হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি দেশবাসীর উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, ইরাকের সমস্যার কোনো ম্যাজিক সমাধান নেই। তাই বিক্ষোভকারীদের ধৈর্য ধরা প্রয়োজন। ভাষণের পর প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বিক্ষোভকারীরা।

বিশেষ করে শুক্রবার জুমার নামাজের পর প্রতিবাদীরা আরো বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে তাদের ওপর গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে। বাগদাদ, নাসিরিয়া, আমারা, বাকুবা ইত্যাদি শহরে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারফিউও জারি হয়েছে। বন্ধ রাস্তাঘাটে সেনা কনভয় ছাড়া অন্য কিছু চোখে পড়ছে না। প্রবাসে ধরনের ভীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে বর্তমানে মহা আতঙ্কে দিন পার করছেন সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশী শ্রমিকরা।

জনশক্তি কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ইরাকে মোট কর্মী গেছেন হাজার ২৬৬ জন। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে গেছেন সর্বোচ্চ হাজার

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন