বয়োজ্যেষ্ঠদের নেতৃত্বে চলছে যুবলীগ

তানিম আহমেদ

যুবলীগের ১৪৯ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির শতাধিক নেতাই পঞ্চাশোর্ধ্ব। এদের মধ্যে কমপক্ষে ৩০ জন রয়েছেন, যাদের বয়স ৬০-এর বেশি। তালিকায় আছেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক বেশির ভাগ প্রেসিডিয়াম সদস্য। বয়োজ্যেষ্ঠ এসব নেতার নেতৃত্বেই চলছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রটোকল অনুযায়ী, বার্ধক্যের সূচনা হয় ৬০ বছর বয়সে। বাংলাদেশে সরকারিভাবে যুবক বিবেচনা করা হয় ১৮-৩৫ বছর বয়সীদের। প্রকৃতপক্ষে যুবলীগের নেতৃত্বে যারা রয়েছেন, প্রচলিত কোনো সংজ্ঞায় যুবক বলা যায় না তাদের সিংহভাগকে।

বিষয়টি নিয়ে যুবলীগের তরুণ কর্মীদের মনোভাববয়োজ্যেষ্ঠরা দায়িত্বে থাকায় তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। নতুন প্রজন্মকে আকৃষ্ট করার মতো যুববান্ধব কর্মসূচি নেয়ার ক্ষেত্রেও পিছিয়ে থাকছে সংগঠনটি। নতুন প্রজন্মের সঙ্গে তাল মেলাতে যুবলীগের আগামী কাউন্সিলে তরুণ নেতাদের মূল দায়িত্বে আনা প্রয়োজন। যুবলীগ করার বয়সসীমা হওয়া উচিত সর্বোচ্চ ৫০ বছর।

যুবলীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য প্রসঙ্গে বলেন, যুবলীগের নেতৃত্ব বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বয়স একটা বড় বিষয়। এমন একটা বিধান করা উচিত, যাতে ৬০-এর বেশি বয়সীরা কোনোভাবেই যুবলীগ করতে না পারেন। তবে তিনি নিজেও বয়সের হাফ সেঞ্চুরি পার করেছেন বলে জানান যুবলীগের নেতা।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর বয়স ৭১। যদিও ওমর ফারুক চৌধুরী বলছেন, তার বয়স ৭১ নয়, তবে এর কাছাকাছি। গতকাল তিনি বণিক বার্তাকে বলেন, বয়স বৃদ্ধি মানেই যৌবন হারানো নয়। বরং সম্ভাবনা শক্তির একটা নতুন অধ্যায় তৈরি হওয়া।

তিনি বলেন, হয়তো আপনি লিখছেন আমার বয়স ৭১। তবে আমার বয়স আরো কম। কিন্তু কাছাকাছি, এটা তো সত্য। আপনি লিখছেন ষাটের ঊর্ধ্বে। প্রশ্নটা হচ্ছে বয়স। যুবলীগ যেহেতু আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন, তাই এর বয়স নির্ধারণটা নেত্রী আওয়ামী লীগ করবে। তারা যেটা নির্ধারণ করবেন সেটাই হবে। আমরা দল করি। দল থেকে যেভাবে নির্দেশ আসে, সেভাবেই করি। যেহেতু যুবলীগের কাজ যুবকদের নিয়ে, তাই বয়স নির্ধারণের ক্ষেত্রে নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে,

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন