আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে চলতে শিখেছি: প্রধানমন্ত্রী

বণিক বার্তা ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের উৎসবগুলোতে সবাই আমরা এক হয়ে উদযাপন করি। এটাই হচ্ছে বাংলাদেশের বড় একটা অর্জন। আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে চলতে শিখেছি। শারদীয় দুর্গোৎসবের মহানবমীর দিনে গতকাল বিকালে রাজধানীর রামকৃষ্ণ মিশনের পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রদত্ত ভাষণে কথা বলেন তিনি। খবর বাসস।

দেশে প্রবাসে অবস্থানকারী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গা পূজার শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধর্ম যার যার কিন্তু উৎসব সবার। বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। বাংলাদেশে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই আমরা এক হয়ে পথ চলি।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রত্যেকের ধর্মকে আমরা সম্মান করি এবং আমরা চাই আমাদের দেশে শান্তি বজায় থাকুক। দেশে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক, দুর্নীতি ধরনের যেসব ব্যাধি সমাজকে নষ্ট করে, দেশকে নষ্ট করে, পরিবারকে নষ্ট করে, পারিবারিক জীবনকে অতিষ্ঠ করে, তা যেন না থাকে। বাংলাদেশে শান্তি বজায় থাকবে। বাংলাদেশের সমৃদ্ধি হবে। বাংলাদেশের উন্নতি হবে। বাংলাদেশের অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে, এটাই আমরা চাই।

বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতির চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ঈদের জামাত যখন অনুষ্ঠিত হয়, তখন আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের যুবসমাজ সেখানে কিন্তু নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে। আবার যখন পূজা-পার্বণ হয়, আমাদের মুসলমান সমাজের যুবকরা সেখানে উপস্থিত থাকে, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে। সব ধর্মের মূলকথাশান্তি মানবতা। শান্তি মানবতার লক্ষ্য নিয়েই বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশ এভাবে এগিয়ে যাবে, এটা আমরা বিশ্বাস করি।

মহান মুক্তিযুদ্ধে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের সব ধর্মের মানুষ, হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এক হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করে বুকের রক্ত বিলিয়ে দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে।

দিল্লি সফরের সময় সেখান থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যৌথভাবে রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্রাবাস এবং একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

এর আগে রামকৃষ্ণ মিশনে

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন