জনবল সংকটে ফেনীর তিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ পাঁচ সরকারি হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন অব্যবহূত অবস্থায় পড়ে রয়েছে দীর্ঘদিন। এতে অযত্নে-অবহেলায় সরকারি সম্পদ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি সেবাবঞ্চিত থেকে যাচ্ছে স্থানীয় দরিদ্র মানুষরা। ফলে বেসরকারি রোগ নির্ণয় কেন্দ্র ও হাসপাতাল থেকে বাড়তি অর্থ ব্যয় করে চিকিৎসাসেবা নিতে বাধ্য হচ্ছে তারা। একই সঙ্গে ব্যাপক দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের।
সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে বিভাগ বন্ধ রয়েছে কয়েক বছর ধরে। ফুলগাজীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও এ সেবা বন্ধ রয়েছে জনবলের অভাবে। প্রকৃতপক্ষে এ জনবলের অভাবই এসব হাসপাতালে যথাযথ এক্স-রে সেবা দেয়ার পথে সবচেয়ে বড় অন্তরায়। গত বছরের শেষ দিকে এসব হাসপাতালে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন দেয়া হলেও পরিচালনার লোক না থাকায় কার্যত সেগুলো অব্যবহূত পড়ে রয়েছে।
ফেনীর সিভিল সার্জন ডা. নিয়াতুজ্জামান জানান, ফেনীর পাঁচটি ক্লিনিকে নতুন করে এক্স-রে যন্ত্র দেয়া হয়েছে। কিন্তু জনবল না থাকায় এগুলো স্থাপন ও সচল রাখা যাচ্ছে না। ফলে রোগী ও স্বজনরা জেলা ও উপজেলা শহরের বিভিন্ন ক্লিনিক থেকে বাড়তি মূল্যে এ সেবা নিতে বাধ্য হচ্ছে।
জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয়দের চিকিৎসা দিতে এখানে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল ছাড়াও পাঁচ উপজেলায় স্থাপন করা হয়েছে পাঁচটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এ পাঁচটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মধ্যে এক্স-রে মেশিন সচল রয়েছে শুধু ছাগলনাইয়া ও পরশুরামে। তাও হাসপাতাল দুটোয় টেকনিশিয়ান রয়েছেন মোটে দুজন। বাকি তিন উপজেলায় তা চালু করা যায়নি। যদিও গত বছরই এসব উপজেলায় নতুন ডিজিটাল এক্স-রে যন্ত্র দেয়া হয়েছে। কিন্তু দেয়া হয়নি এগুলো পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় টেকনিশিয়ান ও জনবল। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বৈদ্যুতিক সমস্যা ও প্রয়োজনীয় কক্ষের অভাবও। ফলে ছাগলনাইয়া ছাড়া অন্য সব উপজেলায় বাক্সবন্দি অবস্থাতেই রয়ে গেছে মূল্যবান এসব এক্স-রে যন্ত্র। একই অবস্থা স্থানীয় বক্ষব্যাধি ক্লিনিক ও ট্রমা সেন্টারেরও।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রধান অফিস সহকারী আবদুল মান্নান জানান, গত ডিসেম্বরে ফেনীর ছয়টি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে ছয়টি নতুন ডিজিটাল এক্স-রে যন্ত্র দেয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছাড়া বাকিরা এখনো তা স্থাপন করতে পারেনি। প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ ও জনবল না থাকায় এসব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে এখনো এক্স-রে যন্ত্রগুলো স্থাপন করা যায়নি। জেলায় বর্তমানে এক্স-রে টেকনিশিয়ানের পদ রয়েছে সাতটি। এর মধ্যে ছাগলনাইয়া ও পরশুরামে কর্মরত দুজন। ফুলগাজীর এক্স-রে বিভাগে একজন