আশাশুনি-পাইকগাছা সড়ক দিয়ে চলাচল করে সাতক্ষীরা ও খুলনার ছয় উপজেলার মানুষ। পিচ-খোয়া উঠে সড়কটি বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। এ কারণে ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)। তবে গত মে মাসে এ কাজের কার্যাদেশ দেয়া হলেও এখনো কাজ শুরু করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন অজুহাতে কালক্ষেপণ করছে। এ ব্যাপারে কয়েক দফা চিঠি দিয়েও কোনো লাভ হয়নি।
সওজ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আশাশুনি-পাইকগাছা সড়কটির দৈর্ঘ্য ২৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার। সড়কটি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা খুলনার পাইকগাছা উপজেলাকে যুক্ত করেছে। এ সড়ক দিয়ে সাতক্ষীরার আশাশুনি, কালীগঞ্জ, শ্যামনগর, দেবহাটা এবং খুলনার পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলার লোকজন যাতায়াত করে। সর্বশেষ ২০১২ সালে সড়কটি সংস্কার করা হয়। এ কারণে পিচ-খোয়া উঠে ও গর্ত সৃষ্টি হয়ে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ অবস্থার মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করে আসছে। স্থানীয়দের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটি মজবুতকরণসহ সংস্কার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ করে চলতি বছরের ২৭ মে যশোরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মহিন উদ্দীন বাশি লিমিটেডকে এ কাজের কার্যাদেশ দেয়া হয়। কাজের মেয়াদ ধরা হয়েছে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত। কিন্তু এখন পর্যন্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরুর উদ্যোগ নেয়নি। বরং বৃষ্টিপাতসহ নানা অজুহাতে কালক্ষেপণ করছে।
সাতক্ষীরা সওজের উপসহকারী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান বলেন, দ্রুত কাজ শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তিন দফা চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি।
সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে সড়ক বেহাল হয়ে পড়ে থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাতায়াতকারীদের। কাজ শুরু না হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। এতে দুর্ভোগ আরো দীর্ঘায়িত হবে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী মোজাফফর হোসেন, আরিফ হোসেন ও বাবু নামে কয়েকজন বাসচালক জানান, সড়কের অবস্থা এতই খারাপ যে চালানোর সময় গাড়ি নিয়ন্ত্রণ রাখা মুশকিল হয়ে পড়ে। এতে গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। সড়কের দুরবস্থার কারণে যাত্রীও কম পাওয়া যায়।
সাতক্ষীরা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি সাইফুল করিম সাবু বলেন, আশাশুনি-পাইকগাছা সড়ক দ্রুত সংস্কার না হলে আমাদের বাস চলাচল