সরকারি কাজ শম্বুক গতিতে চলে, এ অভিযোগের মোক্ষম প্রমাণ যশোর পাসপোর্ট অফিস! জেলার শফিকুল ইসলাম আবেদনের প্রায় চার বছর পর গত রোববার তার পাসপোর্ট হাতে পেয়েছেন। যেখানে সাধারণত আবেদনের এক মাসের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়ার কথা।
শার্শা উপজেলার গোগা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে শফিকুল ইসলাম পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিলেন ২০১৬ সালের ১৮ জানুয়ারি। তিনি জানান, আবেদনের এক মাসের মধ্যে অর্থাৎ ওই বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাকে পাসপোর্ট দেয়া হয়। কিন্তু পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা কোনো কারণ না জানিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি তাকে পাসপোর্ট নিয়ে অফিসে যেতে বলেন। এরপর থেকে ২০১৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাকে শুধু তারিখ দিয়ে ঘোরানো হয়েছে। এর কোনো ব্যাখ্যাও দেননি পাসপোর্ট অফিসের তত্কালীন ওই কর্মকর্তা।
এ অবস্থায় গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় পাসপোর্ট অফিসে লিখিত অভিযোগ করেন শফিকুল। অভিযোগের অনুলিপি খুলনা বিভাগীয় কমিশনার, যশোরের জেলা প্রশাসক ও যশোর পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তার কাছে পাঠান।
শফিকুল ইসলাম বলেন, অনুলিপি দেয়ার পর যশোর পাসপোর্ট অফিস থেকে খবর দেয়া হয় পাসপোর্ট নেয়ার জন্য। প্রায় চার বছর পর রোববার আমাকে পাসপোর্ট দেয়া হলো।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে যশোর পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক সালাহ উদ্দিন বলেন, মাস ছয়েক আগে যশোরে এসেছি। পরে খোঁজ নিয়ে দেখি শফিকুলের পাসপোর্ট মিসিং হয়েছে। নিজ উদ্যোগে সমস্যার সমাধান করেছি। আগের কর্মকর্তারা কেন এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেননি, তা আমার জানা নেই।