কাতার ম্যাচে গোলরক্ষকদের বাড়তি দায়িত্ব নিতে বললেন গোলরক্ষক কোচ ববি মিমস। এ কোচের কথায়—আমাদের গোলরক্ষকদের টেকনিক্যাল দিক থেকে নিখুঁত হতে হবে, দেখাতে হবে মানসিক দৃঢ়তা।
বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ১০ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের কাছে ০-১ গোলের হার দিয়ে বাছাই পরীক্ষা শুরু হয় লাল-সবুজদের। নিরপেক্ষ ভেনু তাজিকিস্তানের দুশানবে শহরে প্রথম ম্যাচ খেলে জামাল ভূঁইয়ার নেতৃত্বাধীন দলটি। কাতারের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ঘরের মাঠে প্রথম পরীক্ষায় নামবে বাংলাদেশ।
কঠিন এ চ্যালেঞ্জের আগে রক্ষণাত্মক কৌশল নিয়ে কাজ করছেন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ জেমি ডে। এরই অংশ হিসেবে গোলরক্ষকদের নিয়ে কৌশল সাজাচ্ছেন মিমস। গোলরক্ষকরা সজাগ থাকলে, দৃঢ়তা দেখালে যেকোনো ফলই হতে পারে বলে মনে করেন ২০০৫ সালে ক্ল্যাকবার্ন রোভার্সের হয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শিরোপাজয়ী মিমস। ম্যানচেস্টার সিটি, টটেনহ্যাম, এভারটন, ক্রিস্টাল প্যালেসের মতো নামকরা দলে খেলা সাবেক এ গোলরক্ষক বলেন, ‘টেকনিক্যাল দিক থেকে নিখুঁত হতে হবে, মানসিকভাবে থাকতে হবে দৃঢ়। আমরা এ নিয়ে কাজ করছি। গোলরক্ষকরা দৃঢ়তা দেখাতে পারলে ম্যাচে যেকোনো ফলই আশা করতে পারি আমরা।’
প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে কাতার। ওই ম্যাচে প্রতিপক্ষের পোস্টে ১৬ বার শট নিয়েছে কাতার; যার সাতটিই ছিল টার্গেটে। গোলের নিশানায় নেয়া সাত প্রচেষ্টার একটি বাদে বাকি ছয়টিই গোল হয়েছে। পরের ম্যাচে ভারতের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচে গোল না পেলেও ভারতের ওপর বেশ চড়াও হয়েছিলেন কাতারি ফরোয়ার্ডরা। ম্যাচে দলটি ২৮ বার শট নিয়েছে! যার ১৩টি ছিল গোলের নিশানায়। এতেই স্পষ্ট বৃহস্পতিবার ম্যাচে বাংলাদেশের জন্য কী অপেক্ষা করছে!
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ছয় গোলের চারটি করেছেন ফরোয়ার্ড আল মোয়েজ আলী। সুদানি বংশোদ্ভূত ২৩ বছর বয়সী কাতারি ফরোয়ার্ড ভারতের বিপক্ষে গোল না পাওয়ায় পরের ম্যাচে হয়তো ক্ষুধার্ত বাঘের মতো ঝাঁপাবেন! গোলরক্ষক কোচ মিমস শিষ্যদের সে বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিলেন।
‘কাতারি ফরোয়ার্ডরা ভয়ংকর। বিশেষ করে আল মোয়েজ আলী তো দলটির গোলমেশিন। তার বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে’—বলেন ৫৫ বছর বয়সী এ ইংলিশ গোলরক্ষক কোচ। যোগ করেন, ‘কাতার শক্তিশালী দল। আবহাওয়া যা-ই থাকুক, আমাদের গোলরক্ষকদের নির্ভার
