টানা ছয় ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে জুভেন্টাসের মুখোমুখি হয়েছিল ইন্টার মিলান। ছয় ম্যাচে মাত্র দুটি গোল হজম করেছিল ক্লাবটি। দীর্ঘ সময় পর ইন্টার-জুভেন্টাস ম্যাচ নিয়ে তাই উত্তেজনাও ছিল তুঙ্গে। বিশেষ করে ইন্টারের ডিফেন্সের সঙ্গে জুভেন্টাসের আক্রমণের মধ্যকার লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল আগে থেকে। এ লড়াইয়ে দারুণভাবে উতরে গেল জুভেন্টাস। স্যান সিরোয় ডার্বি ডি’ইতালিয়া ২-১ গোলে নিজেদের করে নেয় ‘তুরিনের বুড়ি’রা। এ জয়ে ইন্টারকে টপকে টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে জুভেন্টাস।
ডার্বির তিন গোলের তিনটিই করেন আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়রা! ইন্টারের দুর্গে লড়াইটা অবশ্য একেবারে একতরফা ছিল না। ম্যাচে জুভেন্টাসের দাপট থাকলেও ইন্টারও মরিয়া চেষ্টা করেছে। কিন্তু দারুণ ফুটবলশৈলী দেখানো জুভেন্টাসকে শেষ পর্যন্ত দমিয়ে রাখতে পারেনি ইন্টারের রক্ষণভাগ। এ ম্যাচে একাদশেই কিছুটা চমক রেখেছিলেন জুভেন্টাস কোচ মাউরিজিও সারি। হিগুয়াইনকে সাইড বেঞ্চে রেখে পাওলো দিবালাকে মাঠে নামিয়েছিলেন তিনি। তার এ কৌশল দলকে ফল এনে দিয়েছে ম্যাচের ৪ মিনিটেই। মিরালেম পিয়ানিচের থ্রু বল পেয়ে বাঁ প্রান্ত ধরে সোজা ঢুকে পড়েন ডি-বক্সে। সঙ্গে লেগে থাকা ইন্টার ডিফেন্ডারকে কোনো সুযোগ না দিয়েই নিলেন শট, হাত বাড়িয়েও বল থামাতে পারেননি ইন্টার গোলরক্ষক হান্দানোভিচ। শুরুতেই লিড জুভেন্টাসের আত্মবিশ্বাসের পারদ বাড়িয়ে দেয়। এরপর কিছু সময় ধরে চলে রোনালদো ম্যাজিক। একবার বল লাগল বারে। এরপর জুভদের ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টার মাঝেই ম্যাচে ফিরে আসে ইন্টার। ডি-বক্সের ডিফেন্ডার ম্যাথিয়াস ডি লিটের হাতে বল লাগলে ইন্টার পেয়ে যায় পেনাল্টি। স্পট কিকে ভুল করেননি লাউতারো মার্টিনেজ।