পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চার কোম্পানি ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, নর্দান জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, নর্দান জুট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড ও আইটি কনসালট্যান্টস লিমিটেড তাদের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। ঘোষণা অনুযায়ী, ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স ও নর্দান জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের পর্ষদ সভা যথাক্রমে ১৩ ও ১৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে কোম্পানি দুটির তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। অন্যদিকে নর্দান জুট ও আইটি কনসালট্যান্টসের লভ্যাংশ নির্ধারণী পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে ১৫ ও ২০ অক্টোবর। সভায় কোম্পানি দুটির ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।
ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স: সর্বশেষ
অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে,
চলতি ২০১৯ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) কোম্পানিটির
শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯২ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) ইপিএস
হয়েছে ৪৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা একই ছিল। ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট
সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ১৩ পয়সা।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব বছরের
জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১২ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স। এর
মধ্যে ৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির
ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৪৮ পয়সা,
আগের বছর যা ছিল ২ টাকা ২ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর
শেয়ারপ্রতি এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ১৮ পয়সা, এক বছর আগে যা ছিল ২১ টাকা ৫৯ পয়সা।
নর্দান জেনারেল ইন্স্যুরেন্স: চলতি
হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১
টাকা ২৮ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে
(এপ্রিল-জুন) ইপিএস হয়েছে ৪৯ পয়সা,
আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৪ পয়সা। ৩০
জুন কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৬৪ পয়সা, এক
বছর আগে যা ছিল ২০ টাকা ২৪ পয়সা।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব বছরের
জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে নর্দান জেনারেল ইন্স্যুরেন্স।
আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৬৫ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির
এনএভিপিএস দাঁড়ায় ২০ টাকা ৬০ পয়সা,
আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৯ টাকা ৯৬ পয়সা।
নর্দান জুট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি: ৩০
জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কোম্পানিটির
ইপিএস হয়েছে ৭ টাকা ৩ পয়সা,
যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানির
শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছিল ৩ টাকা ৯৩ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) নর্দান
জুটের ইপিএস হয়েছে ১৮ টাকা ১২ পয়সা। আগের হিসাব বছরের প্রথম নয় মাসে শেয়ারপ্রতি
লোকসান ছিল ১০ টাকা ৩৮ পয়সা। ৩১ মার্চ এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৭৫ টাকা ১৬ পয়সা।
লোকসানের কারণে ২০১৮ হিসাব বছরে
বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি পাট খাতের স্বল্প মূলধনি কোম্পানিটি। সে হিসাব
বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয় ১৭ টাকা ১৫ পয়সা। ২০১৭ হিসাব বছরে ২০ শতাংশ
হারে নগদ ও স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল নর্দান জুট।
আইটি কনসালট্যান্টস: ৩০
জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ১২
পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯৬ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ইপিএস
হয়েছে ৩৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৯ পয়সা। ৩১ মার্চ কোম্পানিটির
এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৮১ পয়সা।
২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে
১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় আইটি কনসালট্যান্টস। সে হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস
হয় ১ টাকা ১৪ পয়সা। ২০১৭ হিসাব বছরের জন্য ৬ শতাশ নগদ ও ৪ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।
