ওয়ানএমডিবি

নাজিবের ভাইসহ ৮০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

বণিক বার্তা ডেস্ক

ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাদ (ওয়ানএমডিবি) থেকে অর্থ নেয়ার অভিযোগে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের ভাই নাজির রাজাকসহ ৮০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশন। কমিশনের প্রধান লতিফা কয়া গতকাল এ তথ্য জানিয়েছেন।  দেশটির সাবেক এক মন্ত্রীও তালিকায় রয়েছেন। খবর রয়টার্স।

মালয়েশিয়ার অর্থনীতির উন্নয়নের গতি বাড়াতে ২০০৯ সালে তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক এ বিতর্কিত রাষ্ট্রীয় তহবিল ফান্ড ওয়ানএমডিবি গঠন করেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে এ তহবিলের প্রায় ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলার দুর্নীতির মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া হয় বলে অভিযোগ তোলেন যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়ার তদন্ত কর্মকর্তারা।

ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারির ঝড় নাজিব রাজাকের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার প্রায় শেষ করে দিয়েছে। গত বছরের নির্বাচনে ভরাডুবির পর রাজাক এখন কারাগারে। ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে তার বিচার চলছে। অভিযোগ রয়েছে, রাজাক ওয়ানএমডিবি থেকে ১০০ কোটি ডলার সরিয়েছেন। তবে রাজাক বরাবরই সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।

যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়ার তদন্ত কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, বিলাসবহুল বাড়ি ও ফ্ল্যাট, ব্যক্তিমালিকানাধীন উড়োজাহাজ ও সুপার ইয়ট এবং দামি শিল্পকর্ম ক্রয়ে জালিয়াতির ওই অর্থ ব্যয় করা হয়েছে।

মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশনের (এমএসিসি) প্রধান লতিফা কয়া জানিয়েছেন, তার সংস্থা এখন পর্যন্ত ওয়ানএমডিবির তহবিলের অর্থগ্রহীতা ৮০ জন ও কিছু প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রায় ১০ কোটি ডলার উদ্ধার করেছে। অবশ্য এর মধ্যে জরিমানার পরিমাণ কত, তা জানাননি তিনি।

যেসব ব্যক্তিকে জরিমানা করা হয়েছে, তার মধ্যে মালয়েশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাংক সিআইএমবির সাবেক চেয়ারম্যান নাজির ছাড়াও নাজিব মন্ত্রিসভার সাবেক সদস্য এবং মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় পাম অয়েল সংস্থার সাবেক চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আবদুল সামাদও রয়েছেন বলে জানিয়েছেন লতিফা।

ওয়ানএমডিবি তহবিল থেকে নাজির ২ কোটি ৫৭ লাখ রিঙ্গিতের একটি চেক পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের এ শীর্ষ কর্মকর্তা। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর এ ভাইকে কী পরিমাণ জরিমানা করা হয়েছে তা জানাননি।

যোগাযোগ করা হলেও তাত্ক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে নাজিরের মন্তব্য পাওয়া যায়নি। সাবেক মন্ত্রী শাহরিয়ারও কিছু বলতে রাজি হননি।

মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশন সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় ওই বিনিয়োগ তহবিলের অর্থ নাজিবসংশ্লিষ্ট যেসব কোম্পানি, রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছিল, তাদের নাম প্রকাশ করেছে। লতিফা বলেন, এটাই পূর্ণাঙ্গ তালিকা নয়, আরো রয়েছে। আরো ৮০টি প্রতিষ্ঠান এবং সন্দেহভাজন কয়েকজনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন