বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন

উন্নয়নশীল দেশে দারিদ্র্য দূরীকরণে ভূমিকা রাখবে কৃষি প্রযুক্তি

বদ্বীপ ডেস্ক

উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জনসংখ্যা দ্রুতবর্ধনশীল। এর বিপরীতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে এসব দেশে ঝুঁকিতে রয়েছে খাদ্য চাহিদা পূরণ। অবস্থায় কৃষি উৎপাদন বাড়িয়ে খাদ্য চাহিদা পূরণ দারিদ্র্য দূরীকরণে উন্নয়নশীল দেশগুলোর কৃষিক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো উচিত বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক।

গত মাসে প্রকাশিত সংস্থাটির নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক দশকগুলোতে দক্ষিণ এশিয়া আফ্রিকার দেশগুলোতে কৃষি উৎপাদন অনেকটা স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। গ্রামীণ জীবনযাত্রা উন্নয়নে এসব দেশে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার এখনো সীমিত। তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য প্রযুক্তিগত অগ্রগতি প্রয়োজন। যা ইতিবাচক ফল বয়ে আনতে পারবে। সে কারণে প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। যা জ্ঞান অর্জন, কৃষি উৎপাদন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি কৃষির উন্নয়নে সম্ভাবনাময় ভূমিকা রাখবে।

বিশ্বব্যাংক বলছে, বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ অতিদরিদ্র মানুষ গ্রামে বাস করে। যাদের অধিকাংশ আবার কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। সে কারণে তাদের প্রযুক্তির ব্যবহারে উৎসাহিত করতে পারলে কৃষি উৎপাদন যেমন বাড়বে, তেমনি দারিদ্র্যের হারও কমে আসবে।

বিশ্বব্যাংকের ইকুইটেবল গ্রোথ, ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনস্টিটিউশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট শায়লা পাজারবাসিওগুলু মনে করেন, উন্নত সুযোগের আশায় অনেকে কৃষিকাজ ছেড়ে শহরে যান। অথচ কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে উন্নত জীবনযাপন তৈরি করা সম্ভব। তবে ক্ষেত্রে কৃষি খাতে সমন্বিত চাষাবাদ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে হবে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে গত চার দশকে ফসলের উৎপাদনশীলতা ছয় গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা অঞ্চলে দারিদ্র্য কমাতে সাহায্য করেছে। অন্যদিকে আফ্রিকার সাবসাহারা অঞ্চল এবং দক্ষিণ এশিয়ার অংশবিশেষে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে কেবল শতাংশ। উপরন্তু জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক সম্পদের অপচয় অঞ্চলের কৃষি উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন