কাজ শেষ হওয়ার আগেই উদ্বোধন

৭ মাসেও চালু হয়নি আউটার রিং রোড

নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পতেঙ্গা থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত আউটার রিং রোড প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সড়কটি উদ্বোধন করেছেন সিডিএর তত্কালীন চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম। কিন্তু আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সাত মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত যান চলাচল শুরু করা যায়নি সড়কটি দিয়ে।

সিডিএ সূত্রে জানা গেছে, সিডিএর তত্কালীন চেয়ারম্যান যখন প্রকল্পটি উদ্বোধন করেন, তখনো এটির কাজ অনেক বাকি ছিল। প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত জুনে। ওই সময় প্রকল্পের সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়। পরবর্তী সময়ে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২০ সালের জুন করা হয়।

গতকাল সরেজমিন পতেঙ্গা গিয়ে দেখা যায়, আউটার রিং রোডের পতেঙ্গা অংশের কাজ শেষ হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, গত বছরের শেষ দিকে সড়কটির অংশের কাজ শেষ হয়। এর পর থেকে সড়কটির এই প্রান্ত উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। তবে ফৌজদারহাট অংশের কাজ শেষ না হওয়ায় সড়কটি দিয়ে কোনো যান চলাচল করতে পারছে না। আউটার রিং রোডের দক্ষিণ কাট্টলী অংশে গিয়ে দেখা যায়, গত বর্ষায় সাগরের ঢেউয়ে সড়কটির একটি অংশ ভেঙে গেছে। ভাঙা অংশ পুনর্নির্মাণের কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

আউটার রিং রোড প্রকল্পের উপপরিচালক আশরাফ জানান, ১৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আউটার রিং রোডের পর্যন্ত ১৫ দশমিক ২০ কিলোমিটার মূল দশমিক ১৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়কের কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে পতেঙ্গা সাগরিকা অংশে প্রায় তিন কিলোমিটার সড়কের কাজ বাকি। এখন পর্যন্ত আউটার রিং রোডের প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে বণিক বার্তাকে জানিয়েছেন প্রকল্পটির পরিচালক সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস। কাজ শেষ হওয়ার আগেই উদ্বোধনের বিষয়ে প্রকৌশলী বলেন, ‘সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যানের নির্দেশে কাজ শেষ হওয়ার আগেই সড়কটির উদ্বোধন করা হয়।

এদিকে আউটার রিং রোডের কাজ শেষ না করেই নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক লালখানবাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু করে সিডিএ। এতে বন্দরের পণ্য পরিবহন বিমানবন্দরগামী যাত্রীদের দুর্ভোগ তীব্র হয়েছে।

মূলত গত ফেব্রুয়ারির পর থেকে নগরীর বিমানবন্দর সড়কের যানজট ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। আগের ৩০-৪০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে এখন - ঘণ্টা সময় ব্যয় হচ্ছে। বিশেষ করে বর্ষাকালে যন্ত্রণা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হওয়ার পর বারেক বিল্ডিং মোড় থেকে সিমেন্ট ক্রসিং পর্যন্ত সারাক্ষণ যানজট লেগে থাকে। বন্দরের পণ্য পরিবহন বিমানযাত্রীদের জন্য সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বিকল্প সড়ক তৈরি না হওয়ার আগে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু করা মোটেও ঠিক হয়নি বলে মনে করেন বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা।

চিটাগং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, শুধু চট্টগ্রাম নয়, সারা দেশের জন্য বিমানবন্দর সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সড়ক দিয়ে দেশের পণ্য আনা-নেয়া হয় বন্দরে। কিন্তু

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন