অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনা, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার ইসমাইল হোসেন সম্রাটকে নিয়ে গতকাল ঢাকায় দিনভর অভিযান চালিয়েছে র্যাব। এর আগে শনিবার গভীর রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রাম থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি সম্রাট ও সহসভাপতি এনামুল হক আরমানকে গ্রেফতার করে র্যাব। কুমিল্লায় গ্রেফতারের পর কড়া পাহারায় সম্রাট ও আরমানকে ঢাকায় নিয়ে আসে র্যাব। এরপর তাদের সঙ্গে নিয়ে দিনভর রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় র্যাবের পৃথক কয়েকটি টিম।
এর মধ্যে বেলা পৌনে ২টা নাগাদ সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে তার ব্যক্তিগত কার্যালয় কাকরাইলের ভুঁইয়া ট্রেড সেন্টারে অভিযানে যায় র্যাব। এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, বিকাল ৫টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত এ অভিযান চলে। এ সময় সেখান থেকে ১ হাজার ১৬০ পিস ইয়াবা, একটি অবৈধ অগ্নেয়াস্ত্র, পাঁচ রাউন্ড গুলি, অস্ট্রেলিয়া থেকে আনা দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া, ১৬ বোতল বিদেশী মদ ও পাঁচ সেট তাস উদ্ধার করা হয়। ক্যাঙ্গারুর চামড়া মজুদ করায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে সম্রাটকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে মাদক উদ্ধারের পর আরমানকেও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কাকরাইলে সম্রাটের কার্যালয়ে অভিযান চালানোর সময় একই সঙ্গে তার শান্তিনগরের শেলটেক টাওয়ারের ফ্ল্যাট ও মহাখালী ডিওএইচএসের বাসায় অভিযানে যায় র্যাব। মহাখালী ডিওএইচএসের ২৯ নম্বর রোডের ৩৯২ নম্বর বাসায় সম্রাটের দ্বিতীয় স্ত্রী থাকেন। আগে এক সময় ওই বাসায় বসবাস করলেও গত দুই বছর কাকরাইলের কার্যালয়েই থাকছিলেন সম্রাট। শান্তিনগরের ফ্ল্যাটে বাস করতেন তার পরিবারের সদস্যরা। তবে রাজধানীতে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকেই ওই ফ্ল্যাটে তালা লাগিয়ে তার পরিবারের সদস্যরা লাপাত্তা রয়েছেন।
এদিকে কুমিল্লায় সম্রাটের সঙ্গে গ্রেফতারকৃত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহসভাপতি এনামুল হক আরমানকেও গতকাল সকালে র্যাব পাহারায় ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। এরপর তার কলাবাগান ও মিরপুরের বাড়িতেও অভিযান চালানো হয়। এর মধ্যে কলাবাগানের বাড়িটি থেকে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। তবে তার মিরপুর ২ নম্বরের ই-ব্লকের ৩/৬ নম্বর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১২টি ব্যাংকের চেকবই ও বিদেশী মদ উদ্ধার করা হয়েছে।
সম্রাট ও আরমানকে গ্রেফতার করে ঢাকায় আনার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। র্যাব সদর দপ্তরে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর দুয়েকদিন পরই ঢাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যান সম্রাট। এক্ষেত্রে তিনি এমন সব পন্থা অবলম্বন করেছিলেন, যাতে সহজে তাকে খুঁজে পাওয়া না যায়। আমরা যেসব জায়গায় ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছি, সেসব জায়গা থেকে সম্রাটের নাম একাধিকবার এসেছে। আমাদের দীর্ঘ সময় লেগেছে তার অবস্থান শনাক্ত করতে। ক্যাসিনো ব্যবসায় যুক্ত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সম্রাটকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সম্রাটের সঙ্গে এনামুল হক আরমান নামে আরেকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনিও এ ক্যাসিনোর সঙ্গে যুক্ত।
র্যাব প্রধান বলেন, আমরা অভিযান চালিয়ে ক্যাসিনো বন্ধ করেছি। ক্যাসিনোর সঙ্গে যারা সরাসরি জড়িত, তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। অভিযান চলমান রয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জঙ্গি, সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। চলমান অভিযান একটা বড় ধরনের কৌশল। এর সুফল জনগণ আগামীতেও উপভোগ করতে পারবে। তবে এ ধারা ধরে রাখতে হলে শুধু একটি ফোর্স নয়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সব ফোর্সকে
- সরকারি হিসাবের চেয়ে ২০১০ ও ২০১৬ সালে দারিদ্র্যের মাত্রা বেশি ছিল
- থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লালগালিচা সংবর্ধনা
- আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতি নিয়োগ
- কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার করে চলছে বেশির ভাগ ব্যাংক
- বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যে ১০ চুক্তি ও এমওইউ সই
- দুদিনের সফর শেষে কাতারের আমিরের ঢাকা ত্যাগ